আধার কার্ড আমাদের জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হ্যাঁ, স্কুলে ভর্তি থেকে শুরু করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, সিম তোলা সব ক্ষেত্রেই দরকার পরে এই আধার কার্ড। কিন্তু এবার আধার পরিষেবায় আসছে বিরাট পরিবর্তন। কারণ, ৭ নভেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে আধার সংক্রান্ত তিনটি নতুন নিয়ম, যা সাধারণ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। জানতে হলে অবশ্যই প্রতিবেদনটি পড়ুন।
ঘরে বসেই মিলবে আধার আপডেটের সুযোগ
আগে আধার কার্ডের কোনও তথ্য বদলাতে গেলে আধার সেন্টারে যেতে হতো। সেখানে লম্বা লাইন, কাগজপত্র জমা দেওয়ার ঝামেলা পোহাতে হতো। তবে এবার থেকে আর সেই ঝামেলা পোহাতে হবে না। কারণ, ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমেই আপনার নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ বা মোবাইল নম্বর আপডেট করতে পারবেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আপনি যে কোনও একটি ডকুমেন্ট দিতে পারেন, যা স্বয়ংক্রিয় ভাবেই যাচাই হয়ে যাবে। ফলে পুরো প্রক্রিয়া হবে দ্রুত, সহজ ও অনেক বেশি নিরাপদ।
আধার আপডেট পরিষেবার নতুন ফি
ইউআইডিএআই বা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এবার আধার পরিষেবার ফিতেও বড়সড় পরিবর্তন এনেছে। এখন থেকে—
- নাম, ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর আপডেট করতে ৭৫ টাকা লাগবে।
- ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডি বা ফটো আপলোড করতে গেলে ১২৫ টাকা লাগবে।
- ৫ থেকে ৭ বছর এবং ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সের বাচ্চাদের বায়োমেট্রিক আপডেট করতে কোনও টাকা লাগবে না।
- অনলাইনে ডকুমেন্ট আপলোড করতে ২০২৬ সালের ১৪ জুন পর্যন্ত কোনও টাকা লাগবে না।
- আধার সেন্টারে গিয়ে আপডেট করতে গেলে ৭৫ টাকা দিতে হবে।
- আধার প্রিন্ট আউটের জন্য ৪০ টাকা লাগবে।
- বাড়িতে যদি এনরোলমেন্ট করতে চান, তাহলে প্রথম ব্যক্তির জন্য ৭০০ টাকা এবং একই ঠিকানায় পরবর্তী ব্যক্তির জন্য ৩৫০ টাকা করে লাগবে।
আধার-প্যান লিঙ্ক বাধ্যতামূলক
বলাবাহুল্য, ৭ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল আধার এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক। কারণ, ইউআইডিএআই জানিয়েছে যে, ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কেউ আধার কার্ড ও প্যান কার্ড লিঙ্ক না করে, তাহলে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সেই প্যান কার্ড অকার্যকর হয়ে যাবে। ফলে ব্যাঙ্কিং থেকে শুরু করে অন্য কোনও আর্থিক কাজ করতে পারবেন না।
আরও পড়ুনঃ ফ্রিতে মিলছে ৫ লক্ষ টাকার বীমা! ভারতের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিরাট সুখবর
সহজ হয়েছে ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া
ব্যাঙ্ক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া এবার আরও সহজ করা হয়েছে। এখন থেকে আধার ওটিপি, ভিডিও যাচাই বা ইন-পারসন ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে ই-কেওয়াইসি করা যাবে। এমনকি কাগজপত্র জমা দেওয়ার আর কোনও ঝামেলা থাকবে না। সবকিছু ডিজিটালভাবেই হবে।
