সরকারি প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন কোন ঘটনা নয়। তবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে জালিয়াতির সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েই চলেছে। গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দ আবাস যোজনার সুযোগ থেকে শুরু করে আর্থিক সাহায্য অবৈধভাবে হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ উঠেছে রাজ্যজুড়ে।
এই ধরনের অপরাধ রুখতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আবাস যোজনার আবেদনগুলিকে বিশেষভাবে যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
আবাস যোজনার উদ্দেশ্য
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প চালু করা হয়েছিল গরিব এবং আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারগুলোকে স্থায়ীভাবে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে। এই প্রকল্পের আয়তায় যোগ্য উপভোক্তদের মাথার উপর একটি পাকা ঘরের স্বপ্ন পূরণ করা হয়। তবে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়।
দুর্নীতির শাস্তি
যদি কোন ব্যক্তি ভুয়ো তথ্য দিয়ে এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী এই ধরনের অপরাধের শাস্তি হতে পারে নিম্নরূপ-
- অপরাধীর সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে,
- অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী আর্থিক জরিমানার পরিমাণ নির্ধারিত করা হবে,
- অপরাধ প্রমাণিত হলে জালিয়াতি করে নেওয়া সমস্ত টাকা ফেরত দিতে হবে,
- অভিযুক্তকে ভবিষ্যতে অন্য কোন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত করা হবে সরকারের তরফ থেকে।
জালিয়াতি কিভাবে ধরা পড়ছে?
সরকারের পক্ষ থেকে আবাস যোজনা প্রকল্পের প্রতিটি আবেদন এবার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আধার কার্ড, ব্যাংক একাউন্টের তথ্য, পরিবারের ইনকাম সম্পর্কিত সমস্ত ডকুমেন্ট যাচাই করে জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসছে।
সতর্কবার্তা
সরকারি প্রকল্পে জালিয়াতি কেবল অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, আইনের সমস্যাও সৃষ্টি করে। প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। তাই আবাস যোজনার মত প্রকল্পের অংশগ্রহণ করার আগে আবেদনকারীকে অবশ্যই সমস্ত যোগ্যতা পূরণ করে আবেদন করা উচিত।
সরকারি প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল গরিব মানুষের আর্থিকভাবে সাহায্য করা। জালিয়াতি করে প্রকল্পের সুযোগ নেওয়া ন্যায়সঙ্গত নয় এবং এর ফল ভোগ করতে হতে পারে। তাই প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিদের জন্য এই সুবিধা সংরক্ষণ করাই সঠিক। আবাস যোজনার দুর্নীতি রুখতে সরকারের এই কড়া পদক্ষেপ এই ধরনের অপরাধ কমাতে সাহায্য করবে এবার থেকে।