ভারতের প্রতিটি নাগরিকের কাছে নোটের গুরুত্ব আলাদা। পকেটে কয়টি নোট আছে বা কোন নোটটি বেশি চলে, তা আমাদের প্রতিদিনের হিসাব নিকাশ। আর এই নোটগুলি ঠিক কেমন থাকবে বা কটি থাকবে, সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank of India)।
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাংক তাদের সালভিত্তিক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে উঠে এসেছে এমন এক চমক দেওয়ার বিষয়ে, যা জেনে আপনিও ভাবতে পারেন যে, আপনার মানিব্যাগে থাকা কোন নোটগুলি আর ছাপানো হবে না।
আরবিআই এর বিরাট ঘোষণা
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের রিপোর্টে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, আগামী দিনে আর ২ টাকা, ৫ টাকা, বা ২০০০ টাকার নোট ছাপানো হবে না। এর মানে এই নয় যে, আপনি এই নোটগুলি ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে ভবিষ্যতে বাজারে এই নোটের আর সরবরাহ আসবে না। ধীরে ধীরে নোটগুলি বাজার থেকে হারিয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০০০ টাকার নোট প্রায় উঠে গিয়েছে
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল গত বছর। আর সেই উদ্যোগ এখন আরো একধাপ এগিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মোট ৩.৫৬ লক্ষ কোটি টাকার ৯৮.২% ২০০০ টাকার নোট ব্যাংকে ফিরে গিয়েছে। অর্থাৎ, বর্তমানে বাজারে এই নোটের সংখ্যা খুবই কম। আর রিজার্ভ ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নতুন করে ২০০০ টাকার নোট ছাড়া হবে না।
৫০০ টাকার নোট
এই মুহূর্তে সবথেকে জনপ্রিয় এবং সবথেকে বেশি ব্যবহৃত নোট হল ৫০০ টাকার নোট। রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে, মোট সংখ্যার ৪০.৯% ৫০০ টাকার নোট। আর মোট মুদ্রার মূল্যের দিক থেকে এই নোট ধরে রেখেছে প্রায় ৮৬ শতাংশ শেয়ার। এর ফলে স্পষ্ট হচ্ছে যে, ২০০০ টাকার নোটের জায়গা ৫০০ টাকার নোট দখল করে নিচ্ছে।
ছোট মূল্যের নোটের ভরসা যোগাচ্ছে কয়েন
যেহেতু ২ টাকা ও ৫ টাকার নোট আর ছাপানো হচ্ছে না, তাই এই জায়গাগুলির শূন্যস্থান পূরণ করবে এবার কয়েন। রিজার্ভ ব্যাংকের রিপোর্ট বলছে, ১ টাকা, ২ টাকা এবং ৫ টাকার কয়েন ঠিক আগের মতই জনপ্রিয়। আর ২০২৫ সালে মুদ্রার সংখ্যা ৩.৬% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মূল্য বেড়েছে ৯.৬%।
আরও পড়ুন: আধার কার্ড তো ব্যবহার করেন! এই ৭টি ফিচারের কথা ৯০% লোক জানে না
জাল নোট নিয়ে সতর্কবার্তা
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের রিপোর্টে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। আর তা হল – জাল নোটের কারবার। ১০ টাকা, ২০ টাকা ও ২০০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা কমেছে। তবে ২০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তাই বিশেষ করে যারা নিয়মিত নগদ লেনদেন করেন, তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকা জরুরি।