২০১৫-এর পর থেকে টেট পরীক্ষা বন্ধ! হাইকোর্টের নির্দেশে এবার কি হবে টেট পরীক্ষা?

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

রাজ্যে প্রতিবছর উচ্চ প্রাথমিকে টেট পরীক্ষা কেন হচ্ছে না? NCTE-এর নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও কেন এই নিয়ম প্রতিবার লঙ্ঘিত হচ্ছে তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট এবার বড় নির্দেশ দিল। বিচারপতির সৌগত ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হয়। মামলাটি দায়ের করেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সৌমেন সরকার সহ আরো পাঁচজন। 

মামলাকারীর দাবি ছিল NCTE-এর গাইডলাইন অনুযায়ী প্রতিবছর টেট পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের শেষবার উচ্চ প্রাথমিকে টেট পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালে। দীর্ঘ ৯ বছরের পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও আর কোন টেট পরীক্ষা হয়নি। 

মামলাকারীদের অভিযোগ 

মামলাকারীরা আদালতে জানান, তারা প্রত্যেকেই টেট পরীক্ষার জন্য যোগ্য, কিন্তু রাজ্যে নিয়মিত টেট পরীক্ষা না হওয়ায় তারা সরকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী টেট সার্টিফিকেট থাকলে প্রার্থীরা অন্যান্য রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন। 

কিন্তু টেট পরীক্ষা না হওয়ায় সেই সুযোগে তারা পাচ্ছেন না। তারা আরো অভিযোগ করেন NCTE-এর গাইডলাইন থাকা সত্ত্বেও রাজ্যে প্রতিবছর টেট পরীক্ষা হচ্ছে না।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের যুক্তি 

অন্যদিকে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অগ্রগতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই টেট পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং ২০১৫ সালের পরীক্ষার ভিত্তিতে এখনো নিয়োগ চলছে। 

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

তাই এই ৯ বছর টেট পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে নতুন টেট পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না বলেই জানিয়েছে কমিশন। 

হাইকোর্টের নির্দেশ 

দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য চার সপ্তাহের মধ্যে গোটা বিষয়টি হলফনামা করার নির্দেশ জারি করেছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। 

মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রাজ্যের আইনজীবীরা একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। পরবর্তী শুনানিতে এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করবেন বলে ভাবছেন? বিনিয়োগ করার আগে এই ভুলগুলি একদম করবেন না

উদ্বিগ্ন চাকরিপ্রার্থীরা 

রাজ্যে দীর্ঘদিন টেট পরীক্ষা না হওয়ায় হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। টেট পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশাকে তারা একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নিত। 

কিন্তু সেই টেট পরীক্ষা বন্ধ হওয়ায় সেই পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাই তারা মানসিক চাপে রয়েছেন। NCTE-এর নির্দেশিকা মেনে ভবিষ্যতে রাজ্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই এখন দেখার।

Leave a Comment