পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার রাজ্যে ইটভাটা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছে। এখন রাজ্য সমস্ত অবৈধ ইটভাটা বৈধ করার এবং এই খাতে স্বচ্ছতা আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিধানসভা ভোট আসার আগে রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত ইটভাটা মালিকদের এবং নতুন করে যারা ইটভাটা বানাতে চান, সেই পরিকল্পনাকারীদের ভবিষ্যতের উপর প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইটভাটা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
নবান্ন সূত্রের মতে, সরকার একটি নতুন ব্যবস্থা চালু করছে যার মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি ইটভাটাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এটি রাজ্য সরকার কর্তৃক তৈরি একটি বিশেষ পোর্টালের মাধ্যমে করা হবে। এই পোর্টালটি ইটভাটা মালিকদের তাদের ভাটার অবস্থান সহ প্রয়োজনীয় তথ্য আপলোড করার অনুমতি দেবে, যা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। সরকারের এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল সমস্ত ইটভাটা আইনিভাবে বৈধ করা।
এই নতুন পোর্টালের মূল উদ্দেশ্য দ্বিগুণ:
অবৈধ ইটভাটাগুলিকে বৈধকরণ: ইটভাটাগুলিকে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করে, সরকার সমস্ত ইটভাটাগুলিকে আইনি কাঠামোর আওতায় আনার লক্ষ্য রাখে।
রাজস্ব সংগ্রহ: সরকার ইটভাটা থেকে রয়্যালটি সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে, যার ফলে রাজ্যের জন্য রাজস্ব আয় হবে।
আরও পড়ুন: মাত্র ৫৯১ টাকা জমা করলেই পাবেন ১ লাখ টাকা! SBI নিয়ে আসলো নতুন স্কিম
এই পোর্টালটি BLROs (ব্লক ল্যান্ড রেভিনিউ অফিসার) কে ব্যক্তিগতভাবে ইটভাটাগুলি পরিদর্শন করতে সক্ষম করবে যাতে তারা সঠিক তথ্য প্রদান করছে কিনা তা নিশ্চিত করা যায়। এই পরিদর্শন জমা দেওয়া তথ্যের সঠিকতা বজায় রাখতে এবং কেবল বৈধ ভাটাগুলিই পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
বলা বাহুল্য, ভবিষ্যতে, ইটভাটা স্থাপন করা সহজ হবে না। ইটভাটা মালিকদের প্রথমে রাজ্যের পোর্টালে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে হবে। নথি জমা দেওয়ার পর, সরকার প্রতিটি ইটভাটা পরিচালনার জন্য কত রয়্যালটি দিতে হবে তা নির্ধারণ করবে। এই মূল্যায়ন এবং অর্থ প্রদানের পরেই সরকার ভাটা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেবে।