দেশে ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, এক ধাক্কায় ৪৩ থেকে ২৮-এ নামছে ব্যাঙ্কের সংখ্যা

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ভারত সরকার সারা দেশে ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমাতে চায়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে একত্রিত করার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েও নিয়েছে। এর দরুণ গ্রামীণ ব্যাংকের সংখ্যা 43 থেকে 28-এ নামিয়ে আনা হতে পারে। ব্যাঙ্কের আর্থিক উন্নতির জন্যই এই পদক্ষেপ বলে দাবি করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, গুজরাট, জম্মু ও কাশ্মীর, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা এবং রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যের গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলি একত্রিত হতে পারে৷ জানা গিয়েছে, মোট 15টি গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে একত্রিত করা হবে এবং প্রতিটি রাজ্যে শুধুমাত্র একটি আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলিতে, তিনটি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক একটি হয়ে যাবে। বিহার, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মতো অন্যান্য রাজ্যে দু’টি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এক হয়ে যাবে।

গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির মূলত কৃষক, ছোট ব্যবসা এবং গ্রামীণ এলাকার জনগণকে ঋণ প্রদান করে। যাইহোক, এই ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে অনেকগুলি প্রযুক্তিগত অগ্রগতির অভাবের কারণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, যা কখনও কখনও গ্রাহকদের জন্য অসুবিধারও সৃষ্টি করে। এটাই মোকাবেলা করার জন্য, সরকার এই ব্যাঙ্কগুলিকে একত্রিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

একত্রিত হওয়ার সুবিধা কী হবে?

  • গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সম্পদ বাড়বে এবং ঋণ দেওয়ার ক্ষমতাও বাড়বে, যা রাজ্যকে, বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।
  • গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলো বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে।
  • গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির মূলধনের জন্য সরকারের উপর কম নির্ভরতা থাকবে।

বর্তমানে, ভারতের গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলি যৌথভাবে কেন্দ্রীয় সরকার (50%), বিভিন্ন রাজ্য সরকার (15%) এবং পৃষ্ঠপোষক সংস্থাগুলির (35%) মালিকানাধীন। সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, 31 মার্চ, 2024 পর্যন্ত, ভারতের গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিতে 6.6 ট্রিলিয়ন টাকার আমানত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ছোট ব্যাঙ্কগুলিকে একত্রিত করে, সরকার আরও বৃহত্তর, আরও দক্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করার আশা রেখেছে, যা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে আরও ভালভাবে সেবা দিতে পারবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও প্রচার করতে পারে।

Leave a Comment