Target 50 lakh jobs in 5 years Where will the recruitment be done said the Modi government
WhatsApp Group Join Now

বেকারত্ব কমানো, মোদী সরকারের প্রাথমিক এজেন্ডা। আর ইলেকট্রনিক ম্যানুফ্যাকচারিং এমন একটি খাত, যেখানে কর্মসংস্থানের প্রচুর সম্ভাবনা বর্তমান। তাই আগামী পাঁচ বছরে এই খাতেই 50 লাখ কর্মসংস্থান তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।

এ প্রসঙ্গে ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, আমাদের ফোকাস ডিজিটাল প্রযুক্তিতে পরিষেবা প্রদান, আমাদের ফোকাস বৃহৎ আকারের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন।

কীভাবে 50 লক্ষ কর্মসংস্থান সম্ভব?

ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের মতে, আগামী পাঁচ বছরে ভারতের ইলেকট্রনিক উৎপাদন দ্বিগুণ হবে। এর দরুণ দেশের ইলেকট্রনিক উৎপাদন প্রায় 250 বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছোনোর সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের বর্তমান ইলেকট্রনিক্স রপ্তানি 125-130 বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়ে। ইলেকট্রনিক উৎপাদন খাতে 25 লক্ষ কর্মসংস্থানও বর্তমান। এরপর সরকার আগামী পাঁচ বছরে ইলেকট্রনিক ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে এই 25 লক্ষ চাকরিকেই দ্বিগুণ করে 50 লক্ষে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছে।

ইলেকট্রনিক খাতে উন্নতির জন্য বড় প্রকল্প

WhatsApp Group Join Now

ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনের জন্য ভারতকে একটি বিশ্বব্যাপী কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে, সরকার বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বড় আকারের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনের জন্য প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ স্কিম (PLI), আইটি হার্ডওয়্যারের জন্য প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ, স্কিম (PLI), স্কিম ফর প্রোমোশন অফ ম্যানুফ্যাকচারিং ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্টস এবং সেমিকন্ডাক্টরস (SPECS) এবং পরিবর্তিত ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ক্লাস্টার স্কিম (EMC 2.0)।

এর পাশাপাশি সরকার দেশে একটি টেকসই সেমিকন্ডাক্টর এবং ডিসপ্লে ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে US$10 বিলিয়নের ব্যয় করে সেমিকন ইন্ডিয়া প্রোগ্রামও চালু করেছে।

উল্লেখ্য, মোবাইলের মতো কিছু সেক্টরে, ভারত ইতিমধ্যেই এমন পর্যায়ে রয়েছে যেখানে এটি আমদানির দিক থেকে স্বনির্ভর হয়ে উঠছে এবং রপ্তানির জন্য প্রস্তুতকারকও হয়ে উঠছে। ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ভারত স্বনির্ভর হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে।

আরো পড়ুন: ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়লো, রেশন কার্ড এইভাবে ঠিক করে নিন

ভারত সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতে ইলেকট্রনিক উৎপাদনের জন্য 760 বিলিয়ন রুপি প্রদান করেছে। ভারতের মাথাপিছু ইলেকট্রনিক খরচ বিশ্বব্যাপী খরচের এক-চতুর্থাংশ।

চিন এবং হংকং ভারতের মোট ইলেকট্রনিক্স আমদানিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে, যথাক্রমে 44 শতাংশ এবং 16 শতাংশ। বিপরীতে, মোবাইল ফোন এবং ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিট ভারতের ইলেকট্রনিক রপ্তানিতে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *