রাজ্যে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। উত্তরবঙ্গের অনেক স্কুলকে ক্যাম্পে রূপান্তরিত করা হয়েছে এবং এমন পরিস্থিতিতে 22 এপ্রিল থেকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণাও করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন যে সরকারি স্কুলগুলির বেসরকারি স্কুলগুলিকেও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে গ্রীষ্মকালীন ছুটি স্থগিত করার অনুরোধ করা হচ্ছে।
আসলে সে সময় প্রচণ্ড দাবদাহে রীতিমত নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন বাচ্চা থেকে বুড়োরা। এমন পরিস্থিতিতে তো ছুটি না দিলে নয়। আবার লোকসভা নির্বাচনও সামনে। অনেক সরকারি স্কুলে স্কুলে ক্যাম্পও বসবে। তাই সবদিকটা দেখে বেশ কিছুদিনের মতো গরমের ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল।
কথা ছিল 2 জুন খুলবে স্কুল। কিন্তু বৃষ্টি হয়ে দাঁড়াল ছুটির পথের কাঁটা। রাজ্যে প্রচণ্ড গরমের পরিপ্রেক্ষিতে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে যে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করেছিল। তা এবার তুলে নেওয়া হতে পারে।
বৃহস্পতিবার স্কুল শিক্ষা দফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে এই সময়ের মধ্যে ছাত্রছাত্রী ছাড়াও শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীরাও ছুটিতে থাকবেন, এই সমস্ত ছুটিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্যও খুলে যাবে স্কুল।
আরো পড়ুন: ব্যাঙ্কে গিয়ে দ্রুত এই ফর্ম ফিলাপ করুন, ৩১ মে পর্যন্ত সময় আছে
তবে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে যেহেতু এই ছুটির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তাই ভোট পর্বে এই ছুটিটা ঠিক কবে তোলা হবে সেই নিয়েও চলছে কথাবার্তা।
ঝড় বৃষ্টির জেরে রাজ্যের আবহাওয়া এখন মনোরম। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ বাবুরও দাবি যে এমন পরিস্থিতিতে, স্কুল খুলে দেওয়া উচিত। তাতে পড়ুয়াদের সিলেবাসে কোনও ঘাটতি হবে না।
আগের বারের মতো পরীক্ষার আগে সিলেবাস নিয়ে বিপত্তিতে পড়তে হবে না। এবার বৃষ্টির ঘোর কেটে আবার তাপপ্রবাহ নামলে না হয়, ছুটি দেওয়াই যাবে। এছাড়াও এই মুহূর্তে পড়ুয়াদের সিলেবাস বদলেছে, প্যাটার্ন বদলেছে।
আরো পড়ুন: ভুল করলে মাশুল দিতে হবে! সিম তো বন্ধ হবেই, মোবাইলও ব্লক হবে
এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই স্কুল খোলা প্রয়োজন। কারণ এইবারের যা কঠিন সিলেবাস তা শেষ করতে যথেষ্ট সময় তো লাগবেই। এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশ মিশ্রও। এবার সময় বলবে, ছুটি কাটিয়ে কবে স্কুল খোলে রাজ্য।