আবাস যোজনায় দুর্নীতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ, কী সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন?

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আবাস যোজনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যজুড়ে ১২ লক্ষ পরিবারের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়াই ছিল এই প্রকল্পের লক্ষ্য।

এমনকি গত বছরের ডিসেম্বরে প্রত্যেক সুবিধাভোগীর জন্য ৬০,০০০ টাকার প্রথম কিস্তি জেলাগুলিতে পাঠানো হয়েছিল এবং বাড়ি নির্মাণ করাও শুরু করে দেন তাঁরা। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে মোট ৭২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে সবটা সামলেছে মমতা সরকার নিজে। কিন্তু এখন দুর্নীতি এড়াতে খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

দ্বিতীয় কিস্তির পরিকল্পনা!

সরকার দ্বিতীয় কিস্তি হিসাবে প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে আরও ৬০,০০০ টাকা পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। তবে, প্রথম পর্যায়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার চার মাস পরেই দেওয়া হবে। কোনও অপব্যবহার বা জালিয়াতি রোধ করার জন্য তহবিল কীভাবে বরাদ্দ করা হয় সে সম্পর্কে রাজ্য অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে, বিশেষ করে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে টাকা হাতানোর সমস্যাগুলির পরে কড়া নজর রেখেছে রাজ্য।

রাজ্যের অত্যন্ত আর্থিক চাপ

রাজ্য সরকার এই বছর বেশি পরিমাণে আর্থিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছে, কারণ আবাস যোজনার প্রথম এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে প্রায় ১৪,৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। কেন্দ্রের কাছ থেকে মেলেনি সাহায্য। অর্থ বিভাগ এই ব্যয়ের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক রয়েছে এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ব্যয়ের উপর মনোযোগ দিচ্ছে।

এখন জালিয়াতি প্রতিরোধের জন্য কোন ব্যবস্থা?

যে কোনও আর্থিক দুর্নীতি রোধ করার জন্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আবাসন প্রকল্পের তহবিলের জন্য একটি পৃথক অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ ডিডাক্ট রিকভারিজ হেড অব অ্যাকাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য সরকার। এটি অর্থ ট্র্যাক করতে এবং সঠিক সুবিধাভোগীদের কাছে তা পৌঁছাতে সাহায্য করবে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ভুল ব্যক্তির কাছে যাওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার জন্যও জেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর দরুণ হাউজিং, রুরাল হাউজিং, বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ), ডিডাক্ট রিকভারি সহ অন্যান্য তহবিলে অযোগ্যদের থেকে টাকা ফিরিয়ে নেওয়া সহজ হবে। সরকার প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে এই নতুন নিয়মটি জানিয়ে একটি চিঠিও পাঠিয়েছে।

এই পদক্ষেপ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

নতুন ব্যবস্থা জেলা কর্মকর্তাদের অযোগ্য সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে সহজেই অর্থ পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে। এটি সরকারকে কতটা অর্থ ভুলভাবে পাঠানো হয়েছে, তা ট্র্যাক করার অনুমতি দেবে।

এই অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই যাচাই প্রক্রিয়াটিকে আরও কঠোর এবং নির্ভুল করে তুলবে, যা তহবিলের অপব্যবহার রোধে সহায়তা করবে। এই ব্যবস্থাগুলি বাস্তবায়নের মাধ্যমে, সরকার আবাস যোজনা এবং অন্যান্য প্রকল্পের স্বচ্ছতা উন্নত করতে পারবে বলে আশা করা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ডিএ না বাড়লেও বাংলার সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় খবর, এবছর মিলবে বাড়তি ছুটি

পরিশেষে এটা বলা যায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার আবাসন প্রকল্পে জালিয়াতি রোধ এবং তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য জোরালো প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রকল্পের তহবিলের জন্য একটি পৃথক অ্যাকাউন্ট খোলা সহ নতুন পদক্ষেপগুলি অর্থ ট্র্যাক করতে এবং সঠিক লোকেদের কাছে আর্থিক সুবিধা পৌঁছাতে সহায়তা করবে।

Leave a Comment