কর্মরত অবস্থায় কোনও রাজ্য সরকারি কর্মী মারা গেলে, তরিঘড়ি তাঁর কাছের মানুষকেই চাকরি দেবে রাজ্য। আগের মতো আর দেরি হবে না। এতদিন, চাকরির আবেদন বহুক্ষেত্রে ঠিকঠাক না পড়ায়, সব বাতিল হয়েছে। যার দরুণ, রাজ্য সরকারের দিকে তীর ছুঁড়ে মামলার পথে হেঁটেছে মৃতের পরিবার।
রাজ্য সরকারেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর নিয়ে নিন্দার শেষ নেই। তাই এবার বড় পদক্ষেপ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মৃত কর্মীর পোষ্য বা কাছের আত্মীয়কে চাকরি দিতে তৎপর হতে বলেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকে। জারি করেছেন নির্দেশিকা।
নতুন নির্দেশিকায় কী কী বলেছে সরকার?
রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী, পঞ্চায়েত দফতরের অধীনস্থ কোনও কর্মী কর্মরত অবস্থায় মারা গেলে কিংবা শারীরিক অসুবিধার কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অবসর নিয়ে নিলে, সেই কর্মীর পরিবারের একজন তাঁর চাকরিটি পেতে পারেন।
এই চাকরি পাওয়ার জন্য কয়েকটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়া মেনে চললেই যথেষ্ট। তবে, সেই প্রক্রিয়ায় ত্রুটি হলেই বিপদ। চাকরি মেলে না। এই প্রক্রিয়াই এবার বেঁধে দিয়েছে রাজ্য। দেখে নিন সরকারের বলে দেওয়া সেই নির্দেশিকা-
(১) পঞ্চায়েতের কোনও সরকারি কর্মচারী দুর্ঘটনায় মারা গেলে, দফতরই মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবে।
(২) তাঁর মৃত্যুর দু’বছরের মধ্যে তাঁর পরিবারকে চাকরির আবেদনের জন্য গাইড করা হবে।
(৩) চাকরির জন্য কীভাবে আবেদন করতে হয়, না জানলে, সেক্ষেত্রেও সাহায্য করা হবে।
(৪) আবেদন করতে গিয়ে কোনও গুরত্বপূর্ণ নথি লাগলে, তাও দেবে পঞ্চায়েত।
(৫) সবটা করার জন্য দায়িত্ব নেবেন পঞ্চায়েতেরই একজন অফিসার।
(৬) আবেদন করা হয়ে গেলেই মৃতের পরিবার একটি রিসিপ্ট কপি দেবেন।
(৭) আবেদন জমা পড়ার 30 দিনের মধ্যেই তা প্রসেস করার দায়িত্ব নিতে হবে অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট অফিসে আবেদন জমা পড়ার 30 দিনের মধ্যেই রাজ্য যাতে তা হতে পেয়ে যায়।
(৮) মনে রাখবেন, কোনও সরকারি কর্মী অসুস্থ হলেও একইভাবে সবটা হবে।