হাইকোর্টে আবারও ধাক্কার মুখে রাজ্য! সরকারি কর্মীদের সব বকেয়া মেটানোর নির্দেশ

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সরকারি কর্মীর বকেয়া নিয়ে আর কোন‌ওরকম অজুহাত চলবে না। কড়া রায় দিল হাইকোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই আরও একবার মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের। হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়েছে, একজন সরকারি কর্মী কতদিন কাজ করছেন তার উপর নির্ভর করেই তাঁর প্রাপ্য গ্র্যাচুয়েটির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

এক্ষেত্রে তিনি কত বছর বয়সে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করলেন সেটা মোটেও বিবেচ্য হবে না। এর ফলে মামলাকারীর বকেয়া বাবদ গ্র্যাচুইটির লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।

হাইকোর্টের এই রায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে। সে রাজ্যের সেহরুন নিশা নামে সরকারি স্কুলের এক শিক্ষিকা চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর গ্র্যাচুইটি পাননি। তিনি ৫৭ বছর বয়সে কর্মজীবন থেকে অবসর নেন। এই বিষয়ে প্রয়াগরাজ জেলার পেনশন বিষয়ক দফতরের যুগ্ম আধিকারিক ও সংখ্যালঘু কল্যাণ দফতরের কর্তা জানান, যেহেতু ৬০ বছর বয়স হওয়ার আগে তিনি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন তাই আর গ্র্যাচুইটির টাকা পাবেন না।

আরো পড়ুনঃ ৩১ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করুন! মূল বেতন‌ ও DA নিয়ে আবারো সুখবর?

সেহরুন নিশা এরপর বিষয়টি নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৬০ বছর বয়সে চাকরি থেকে অবসর নিলে তবেই গ্র্যাচুইটি পেতে পারেন একজন সরকারি কর্মী।

উল্টোদিকে সেহরুন নিশা-এর আইনজীবী যুক্তি দেন, একজন সরকারি কর্মী কবে চাকরি থেকে অবসর নেবেন সেটা বিচার্য বিষয় নয়। বরং তিনি কতদিন চাকরি করেছেন তার উপর ভিত্তি করে গ্র্যাচুইটির পরিমাণ নির্ধারিত হওয়ার কথা।

শেষে এই মামলার রায় দিতে গিয়ে এলাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি জানান, সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারি আধিকারিক পেনশন সংক্রান্ত নিয়ম ও আইন কিছুই বোঝেননি। তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুলভাবে বুঝেছেন। এর পরে আদালত তাদের রায়ে জানায়, ওই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর চাকরি জীবনের হিসেবে যত টাকা গ্র্যাচুইটি হয়েছে তার পুরোটাই মিটিয়ে দিতে হবে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরো পড়ুনঃ G Pay এর থেকে আলাদা! এবার চলে এল Google Wallet, পাবেন এই বিশেষ সুবিধা

এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে সরকারি কর্মীদের অধিকার আরও শক্তিশালী ও প্রতিষ্ঠিত হল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ অবসরের বয়স নিয়ে এর ফলে রাজ্য সরকার আগামী দিনে বাড়াবাড়ি করা কমাতে পারে বলে অনেকের ধারণা।

Leave a Comment