পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুয়ো খবর এবং সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছেন। রাজ্য জুড়ে মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প চালু করেছেন৷ সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভ্রান্তিকর কন্টেন্ট চিহ্নিত করতে এবং রিপোর্ট করার জন্য মহিলাদের সক্রিয় ভূমিকা নিতে উৎসাহিত করবে এই উদ্যোগ৷
প্রকল্পের মূল বৈশিষ্ট্য কী কী?
এই উদ্যোগ, মহিলাদের দল বেঁধে কাজ করতে শেখাবে, কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বাস করেন যে তাঁরা কার্যকরভাবে ভুয়ো খবরের সমস্যা সমাধান করতে পারেন৷ তিনি বলেছিলেন যে সন্দেহজনক বিষয়বস্তু শনাক্ত এবং রিপোর্ট করার মাধ্যমে মহিলারা সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
পুরষ্কার এবং কাজের সুযোগ: এই কাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য, এই স্কিমটির মাধ্যমে সরকার পুরস্কার দেবে মহিলাদের। সফলভাবে জাল খবর শনাক্ত করলেই হবে বাজিমত। মোট, 100টি পুরষ্কার বরাদ্দ করা হবে। এছাড়াও এলাকায় শক্তিশালী দক্ষতা প্রদর্শনকারীদের জন্য চাকরিরও সুযোগ থাকবে দক্ষ মহিলাদের জন্য।
রিপোর্টিং মেকানিজম: মহিলারা একটি সম্ভাব্য জাল ভিডিও বা পোস্ট দেখলেই, তাঁদের এটিকে “ফেক” হিসেবে লেবেল করতে হবে। পুলিশে গিয়ে রিপোর্ট করতে হবে। ফেসবুক এবং টুইটারের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে করা যেতে পারে এটাই। এমনটাই জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
উদ্যোগের গুরুত্ব
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-এর ক্রমবর্ধমান প্রসারের পাশাপাশি, জাল ভিডিও এবং ভুয়ো সংবাদ তৈরি করা সহজ হয়ে উঠেছে। এটি সাইবার অপরাধের বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে, যা সামাজিক স্বাস্থ্য ব্যাহত করতে পারে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রচেষ্টায় মহিলাদের একত্রিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
কারণ, মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বাস করেন যে মহিলাদের কাছ থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা সমাজে ভুল তথ্যের অপপ্রচার বন্ধের কাজে পরিবর্তন আনবে। তিনি আরও যুক্তি দেন যে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করা অপরিহার্য।
আরও পড়ুনঃ এই মাসে ঢুকবে কৃষক বন্ধুর টাকা, না ঢুকলে কল করবেন এই নম্বরে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগটি জাল খবরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মহিলাদের জড়িত করার দিকে একটি সক্রিয় পদক্ষেপ। মিথ্যা তথ্য শনাক্ত করতে এবং রিপোর্ট করার ক্ষমতা দিয়ে, এই স্কিমটির লক্ষ্য মহিলাদের সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগানো।