খয়রাতি প্রকল্পের কারণে জরুরি খাতে অর্থের অভাব, বাংলা সহ বিভিন্ন রাজ্যকে কড়া নির্দেশ RBI-এর

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দেশের বিভিন্ন রাজ্যে খয়রাতি প্রকল্পের অতিরিক্ত খরচ নিয়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, কৃষি ঋণ মুকুব এবং পরিবহন পরিষেবার মত প্রকল্পের কারণে রাজ্যের জরুরি খাতে খরচ করার সামর্থ্য ইতিমধ্যে কমে আসছে। আর এই বিষয়টিকে সম্প্রতি একটি রিপোর্টে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক।

RBI-এর রিপোর্টে কী বলা হয়েছে? 

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) ‘এ স্টাডি অব বাজেটস অব ২০২৪-২৫’ শীর্ষক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্যের সরকারগুলি খয়রাতি প্রকল্পে ব্যাপক পরিমাণে খরচ করে ফেলছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-

  • কৃষি ঋণ মুকুব,
  • বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং পরিবহন পরিষেবা, 
  • বেকার যুবক-যুবতী এবং মহিলাদের আর্থিক ভাতা। 

এই ধরনের প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের ফলে জরুরী খাতে অর্থের অভাব দেখা দিচ্ছে এবং আর্থসামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়নের সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI)। 

খয়রাতি প্রকল্পের পাশাপাশি ইতিবাচক দিক

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) শুধুই নেতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরেনি। রাজ্যের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপের কথাও জানিয়েছে। সেই রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করা রয়েছে-

  • রাজ্যের কোষাগারে ঘাটতি টানা ৩ বছর ধরে ৩ শতাংশের নিচে রাখা সম্ভব হয়েছে। 
  • ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ সালের রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ০.২% ধরে রাখা গিয়েছে। 
  • রাজ্যের মূলধন ব্যয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

কী বলছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক?

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক সমস্ত রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে- 

  • খয়রাতি প্রকল্পগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে, 
  • জরুরী খাতে অর্থের সঠিক ব্যবহারে জোর দিতে,
  • রাজ কোষের ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি সামাজিক এবং আর্থিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে।

বিনামূল্যে পরিষেবা নিয়ে সতর্কবার্তা

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও পরিবহন বা কৃষি ঋণ মুকুবের মতো প্রকল্পগুলিতে অর্থ ব্যয় করলে রাজ্যের আর্থিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এর ফলে দেশের আর্থিক কাঠামো সমস্যার মুখে পড়তে পারে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরও পড়ুন: বড়দিনের আগেই কর্মীদের জন্য বিরাট সুখবর, এবার এক ধাক্কায় ১২% ডিএ বৃদ্ধি করল রাজ্য সরকার

এর পাশাপাশি যে সমস্ত চ্যালেঞ্জগুলি হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেগুলি হল- 

  • দেশের বাণিজ্যক ঘাটতি বেড়ে চলেছে, 
  • টাকার তুলনায় ডলারের বিনিময় হার সর্বকালীন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে, 
  • ব্যাংকগুলিতে নগদ অর্থের ঘাটতি বাড়ছে। 

রাজ্যের অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের পরামর্শ মেনে খয়রাতি প্রকল্পের খরচে লাগাম টানা এখন থেকেই জরুরী। পাশাপাশি উন্নয়নমূলক প্রকল্পে অর্থ ব্যয় করে আর্থসামাজিক পরিকাঠামো উন্নত করার দিকে আরও নজর দিতে হবে। এভাবে রাজ্যগুলির অর্থনৈতিক স্থিতি আরো মজবুত হবে এবং নাগরিকদের জন্য টেকসই পরিষেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

Leave a Comment