কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে, আন্দোলন করেই আসছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এই মুহূর্তে এত পরিমাণ ভাতা দেওয়া প্রায় অসম্ভব, এমনই ইঙ্গিতও দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের হারে রাজ্যে ভাতা দিতেই হবে বলে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এমন পরিস্থিতিতে ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেও রাজ্য কর্মীদের কর্মবিরতি ও সুশৃঙ্খল জীবনের প্রয়োজনীয়তা বুঝলেন মুখ্যমন্ত্রী। লম্বা ছুটির সুযোগ করে দিলেন।
এই মুহূর্তে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা মূল বেতনের 14 শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ পাচ্ছেন, যা সম্প্রতি 8 শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সবেমাত্র কর্মীদের বেতনও ঢুকেছে। সামনে আবার পুজো। শপিং বাকি। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই অতিরিক্ত দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে মমতা সরকার। এই সিদ্ধান্ত যে শুধুমাত্র কর্মচারীদের কাজ থেকে একটু বিরতি নিতে সাহায্য করবে তা নয়, বরং তাদের সুস্থতা ও শান্তির দিকটাও বজায় রাখবে।
সেপ্টেম্বর মাসে কোন কোন তারিখে বড় ছুটিটা পড়ছে?
সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি গিয়ে এই ছুটি পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার 14 সেপ্টেম্বর ছুটি ঘোষণা করেছে। রাজ্য কর্মচারীদের মধ্যে এই তারিখের ছুটি দারুণ খুশি এনে দিয়েছে। কারণ এই দিনটির পরেই আরও একটি ছুটি পাচ্ছেন তাঁরা। ওই ছুটির পরেও রয়েছে ছুটি। সব মিলিয়ে তিন দিন অর্থাৎ 13, 14, 15 এই তিনদিন ছুটি উপভোগ করবেন কর্মীরা। সব থেকে বড় বিষয় হল এই তারিখ পড়েছে সপ্তাহান্তে। 14 সেপ্টেম্বর শনিবার, 15 সেপ্টেম্বর রবিবার এবং 16 সেপ্টেম্বর ফতোয়া-দাওয়াজ-দহমের ছুটি।
উল্লেখ্য, করম পূজার সম্মানে 14 সেপ্টেম্বর নতুন ছুটি বরাদ্দ করেছে রাজ্য। এই ঘোষণার অধীনে, 14 সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের সরকারি অফিস, স্কুল এবং কলেজগুলিতে পূর্ণদিবস ছুটি থাকবে। এর অর্থ হল কর্মচারীদের পরপর তিন দিন ছুটি থাকবে। এই অতিরিক্ত সময়ের ছুটি হাতে নিয়ে, আপনি নিশ্চিন্তে একটি বেরিয়েও আসতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ব্যাঙ্কে যেতেই হবেনা, এখন UPI এর মাধ্যমেই জমা করা যাবে টাকা, জানুন সম্পুর্ণ পদ্ধতি
প্রসঙ্গত, গত বছরও, রাজ্যও কর্মীদের একই রকম দীর্ঘ সপ্তাহান্ত দেওয়া হয়েছিল। এর আগে, করম পূজা উপলক্ষে শুধুমাত্র তাঁদের জন্যই ছুটি দেওয়া হতো, যাঁরা এই দিনটি উদযাপন করেন। কিন্তু এখন এটি রাজ্যের প্রত্যেকের জন্য একটি সাধারণ ছুটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা বাহুল্য, রাজ্যের ছুটির তালিকায় এই পরিবর্তন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুশীলনে স্থানীয় মানুষকে আরও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য, সরকারের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানায়।