মধ্যবিত্তদের জন্য বড় খবর। প্রস্তুত থাকুন ৭ ফেব্রুয়ারির জন্য। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের পেশ করা কেন্দ্রীয় বাজেট ইতিমধ্যেই মধ্যবিত্তদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। তিনি নতুন কর সুবিধা চালু করেছেন, যেমন ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর শূন্য কর এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য টিডিএস সীমা ৫০,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এটি কেবল একটি শুরু এবং বড় খবর এখনও আসেনি।
৭ ফেব্রুয়ারি আরবিআই কী ঘোষণা করতে পারে?
৫ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি সভা (এমপিসি) নির্ধারিত হয়েছে। এই সময়েই দেশের অর্থনীতিকে সাহায্য করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আরবিআই। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন ঋণের খরচ কমিয়ে মধ্যবিত্তদের সাহায্য করার জন্য আরবিআই এই সুদের হার কমাতে পারে। সুদের হারে ২৫ বেসিস পয়েন্ট হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
মজার বিষয় হল, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আরবিআই সুদের হার পরিবর্তন করেনি। তারপর থেকে ১১টি সভা করা সত্ত্বেও, সুদের হার ৬.৫% এ একই রয়ে গিয়েছে। এর অর্থ হল আরবিআই শীঘ্রই পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত হতে পারে, কারণ এটি অর্থনীতি এবং মধ্যবিত্তদের জন্য স্বস্তি প্রদানের উপায় খুঁজছে।
এর অর্থ হল, আরবিআই যদি হার কমায়, তাহলে বাড়ি, গাড়ি এবং ব্যবসার মতো জিনিসের জন্য ঋণ নেওয়া সস্তা হয়ে যাবে। এর ফলে মানুষের হাতে আরও বেশি টাকা থাকবে, যার ফলে তাঁদের ব্যয় এবং সঞ্চয়ও বৃদ্ধি পাবে। আর মতিলাল ওসওয়ালের চেয়ারম্যান রামদেব আগরওয়াল বিশ্বাস করেন যে আরবিআইয়ের মূল লক্ষ্য হবে দেশের অর্থনীতিকে ৭% জিডিপি হারে বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।
এটি মধ্যবিত্তদের কীভাবে সাহায্য করবে?
কম সুদের হার ঋণকে সস্তা করবে, যার অর্থ মধ্যবিত্তরা সুদের উপর অর্থ সাশ্রয় করবে। উদাহরণস্বরূপ,
যদি কারও গৃহ ঋণ বা গাড়ি ঋণ থাকে, তাহলে সুদের হার হ্রাসের অর্থ হল তাঁদের প্রতি মাসে কম সুদ দিতে হবে। এর ফলে পরিবারের জন্য আরও বেশি ব্যয়যোগ্য আয় হতে পারে, যা তাঁরা পণ্য ও পরিষেবার উপর ব্যয় করতে পারে, যা অর্থনীতিকে আরও সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: বাজেটের পরই রেলের জন্য বড় ঘোষণা রেলমন্ত্রীর, ২০০টি নতুন বন্দে ভারত সহ আর কী কী সুবিধা মিলবে?
অধিকন্তু, কম সুদের হার মানুষকে ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিট (এফডি) এবং সরকারি প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করতে পারে, যার ফলে সঞ্চয় বৃদ্ধি পাবে।
প্রসঙ্গত, আরবিআই সম্প্রতি ৬০,০০০ কোটি টাকার সরকারি সিকিউরিটিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ডলার-রুপির সোয়াপ নিলাম ব্যবহার করে লিকুইডিটি বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে, আরবিআই অর্থনীতির জন্য উপকারি আরও পদক্ষেপের জন্য ভিত্তি প্রস্তুত করছে।