নতুনরুপে দেখা যাবে রেশন দোকানগুলিকে, এবার পাবেন এইসব সরকারি সুবিধা

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আর কিছু মাসের মধ্যেই নতুন রূপে দেখা যেতে পারে বাংলার রেশন দোকানগুলোকে। এমনিতে এখন‌ই চাল, গম, ডাল ছাড়াও আরও অন্যান্য অনেক দ্রব্য সামগ্রী রেশন দোকান থেকে কিনতে পাওয়া যায়। বলতে গেলে মুদিখানায় লাগা প্রায় সমস্ত জিনিসই বর্তমানে রেশন দোকানে সহজলভ্য করে দিয়েছে সরকার।

তবে এবার আম জনতার জন্য থাকছে আরও বড় চমক। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পরিচয়পত্র বা নথি তৈরির জন্য আগামী দিনে রেশন দোকানে গেলেই কাজ হয়ে যাবে।

শুধুমাত্র প্রতিমাসের চাল, গম বা আটা দেওয়ার মধ্যেই আর সীমাবদ্ধ থাকবে না রেশন দোকানগুলি। বরং গ্রাহকদের মাসিক খাদ্যশস্য দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে ল্যাপটপ, ডেক্সটপ নিয়ে বসে কাজ করতে দেখা যাবে বহু তরুণ-তরুণীকে। তাঁরা আধার কার্ড, প্যান কার্ড মত গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় পত্র তৈরি করা সহ কমন সার্ভিস সেন্টারে (CSC) হওয়া যাবতীয় সরকারি নথিপত্রের কাজকর্ম রেশন দোকানেই করতে পারবেন।

রেশন দোকানের এই ভোল বদলের মাধ্যমে যেমন দূরদূরান্তের গ্রামে বসবাসকারী মানুষজনের অনেকটাই সুবিধা হবে তেমনই বেকারদের নতুন কর্মসংস্থানের পথ খুলে যাবে।

রেশন দোকানে ঠিক কী হতে চলেছে?

সম্প্রতি রাজ্য খাদ্য দফতর রাজ্যের প্রতিটি রেশন দোকানে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র (BSK) খোলার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এই বিষয়ে খাদ্য দফতরের প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। বর্তমানে রাজ্যে ৩,৬০০ টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র আছে। এগুলির মাধ্যমে রাজ্য সরকারের ৪০ টি দফতরের ৩২৩ টি পরিষেবা অনলাইনে পেয়ে থাকে সাধারণ মানুষ। এর জন্য আমজনতাকে কোন‌ও অর্থ ব্যয় করতে হয় না।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরো পড়ুনঃ কায়দা শুরু করেছে রাজ্যের বিদ্যুৎ কোম্পনি, এইভাবে বেশি টাকা বিল নিচ্ছে

তবে পরিষেবা পিছু নির্দিষ্ট কমিশন বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের পরিচালকরা পান। রেশন দোকানে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলা হলে ডিলাররাও সেই কমিশন পাবেন এবং লাভবান হবেন। কারণ এমনিতেই রেশন তোলার জন্য আমজনতাকে তাঁদের দোকানে আসতে হয়। আর সেখানে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের পরিষেবা পেলে সহজেই মানুষ ভিড় করবে। আর তার ফলে পরিষেবা পিছু সরকারের থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন ডিলাররা, এতে তাদের আয় বাড়বে। এক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত রেশন ডিলাররা বেশি লাভবান হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে একইরকম উদ্যোগ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। রেশন দোকানে তাদের কমন সার্ভিস সেন্টার বা CSC খুলতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকারও। কেন্দ্রীয় সরকারের কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে একই রকমভাবে কেন্দ্রের বিভিন্ন দফতরের প্রকল্পগুলির অনলাইন পরিষেবা পেয়ে থাকে সাধারণ মানুষ। তবে এর জন্য একটা নুন্যতম অর্থ ব্যয় করতে হয় প্রত্যেককে। এক্ষেত্রেও রেশন ডিলাররা কমিশন পাবেন।

তবে কেন্দ্রের কমন সার্ভিস সেন্টার খোলাটা রেশান ডিলারদের কাছে কিছুটা অতিরিক্ত লাভজনক হয়ে থাকতে পারে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং এবং ডাকঘরের বেশ কিছু পরিষেবা দিয়ে থাকে। ফলে গ্রাহক সংখ্যা যেমন বাড়ে তেমনই আয় বাড়ে পরিচালকদের। ফলে এটি রেশন ডিলারদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ ৩১ মে লাস্ট ডেট! ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলে জমা করুন, নাহলে পরে লাইন দিতে হবে

এই বিষয়ে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, তাঁরা চান রাজ্যের প্রতিটি রেশন দোকানে কেন্দ্রীয় সরকারের কমন সার্ভিস সেন্টার এবং রাজ্য সরকারের বাংলা সহায়তা কেন্দ্র উভয়‌ই খোলা হোক। এতে ডিলাররা উপকৃত হবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে রেশন ডিলারদের জন্য আরও একটি সুখবর আছে। প্রতি কুইন্টাল খাদ্যশস্য পিছু তাঁদের কমিশন আরো ২০ টাকা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Leave a Comment