দুর্গাপূজা এবং লক্ষ্মীপূজার পর কালীপুজোর খুশিতে মেতেছে গোটা বাংলা। এই উৎসবের মরশুমে রাজ্যের দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের খাদ্যের অভাব দূর করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বড়সড় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এবছর দীপাবলি উপলক্ষে বাড়তি রেশন দেওয়া হচ্ছে, পাশাপাশি মহিলাদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
দীপাবলিতে বাড়তি রেশন বিতরণ
বাংলায় এমন অনেক পরিবার রয়েছে, যারা এখনো প্রতিদিনের খাবার ঠিকমতো জোগাড় করতে পারেনা। সেই খাবারের জন্য রেশনের উপরে নির্ভরশীল থাকে তারা। সরকার ইতিমধ্যেই বিনামূল্য রেশন সরবরাহ করে আসছে এতদিন ধরে। তবে দীপাবলির সময় বাড়তি সুবিধা পেতে চলেছেন গোটা বাংলার মানুষ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবার বাড়তি রেশনের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মহিলাদের জন্য বিশেষ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
কোন কোন রেশন কার্ডে পাওয়া যাবে এই সুবিধা?
এই উৎসবের মরশুমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে যে রেশন কার্ডে বাড়তি সুবিধা প্রদান করছে সেগুলি হল-
- অন্ত্যোদয় রেশন কার্ড (AAY Ration Card)- এই কার্ডের আয়তায় থাকা গ্রাহকরা দীপাবলীর সময় ২১ কেজি চাল, ১৩ কেজি গম এবং ১ কেজি চিনি বিনামূল্যে পাবেন। এছাড়াও ৩০ টাকায় এক কেজি ময়দা দেওয়া হবে।
- স্পেশ্যাল প্রায়োরিটি হাউসহোল্ড কার্ড (SPHH I & SPHH II Ration Card)- এই কার্ডের গ্রাহকরা ৩ কেজি চা, ১ কেজি গম বা দু কেজি আটা বিনামূল্যে পাবেন। গমের বদলে চাল নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
- রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা কার্ড (RKSY I & RKSY II Ration Card)- RKSY I কার্ডের গ্রাহকরা ৫ কেজি চাল এবং RKSY II কার্ডের গ্রাহকরা ২ কেজি চাল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাবেন।
মহিলাদের জন্য আর্থিক সহায়তা: ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা
কালীপূজার পরপরই রাজ্যের মহিলাদের জন্য আসছে আরো একটি দুর্দান্ত সুখবর। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে নভেম্বর মাসের শুরুতেই সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতী ও উপজাতি মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে ১২০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করা এই আর্থিক সাহায্য মহিলাদের আরও আত্মনির্ভরশীল এবং দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে এটাই আশা করা যায়।
আরও পড়ুন: ১ নভেম্বর থেকে UPI নিয়ম বদলে গেল, PhonePe, G Pay থেকে টাকা পাঠালেই জানুন
সরকারি উদ্যোগে খুশির আমেজ
দীপাবলির আনন্দে রাজ্য সরকারেরর এই উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। একদিকে যেমন বাড়তি রেশনের মাধ্যমে খাদ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তেমনি আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেরে টাকা প্রদান করায় তাদের আরও আত্মনির্ভরশীল এবং জীবনযাপন স্বচ্ছল করে তুলতে সাহায্য করেছে।