সংসদের হল ঘরে রক্তদান শিবির কেন? প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিল সংসদ। ঝামেলা মেটাতে সরাসরি সিঙ্গেল বেঞ্চে গিয়ে বিচার চেয়েছিল শিক্ষা মহল।
সিঙ্গল বেঞ্চ এদিকে শিক্ষকদের পক্ষে রায় দিচ্ছে দেখে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে সংসদ। তারপর যা হল, তাতে সংসদেরই মুখ পুড়ল। হাসতে হাসতে বাড়ি ফিরলেন শিক্ষকেরা।
আসল ব্যাপারটা কী?
গত 13 জুন শিক্ষক সংগঠন সংসদের হল ঘরে রক্তদান শিবিরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল। 16 জুলাই সংসদ সোজা না বলে দিয়েছিল। 19 জুলাই থেকে ওই হলঘর বন্ধ করবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সিঙ্গল বেঞ্চে এ প্রসঙ্গে শিক্ষক সংগঠন মামলা করেছে দেখে, আদালতে সংসদ স্পষ্ট জানিয়েছিল যে ওই হলঘর রেকর্ড রুম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তা রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিকে দেওয়া হবে। কিন্তু সংগঠনের দাবি, আগামী 15 জুলাই ওখানেই তৃণমূলের 21 জুলাইয়ের সমাবেশের প্রস্তুতি কর্মসূচি হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে রক্তদান শিবির করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সবটা শুনে, আদালত রায় দিয়েছিল শিক্ষকদের পক্ষেই। বলেছিল যে 28 জুলাই সকাল 10 টা থেকে দুপুর 2 টো পর্যন্ত রক্তদান শিবির সংসদের ঘরেই করতে দিতে হবে। সর্বাধিক 100 জন ব্যক্তিকে নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ঘরে এই শিবিরের আয়োজন করা যাবে। সেই নির্দেশ পছন্দ হয়নি সংসদের চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল সংসদ। তাতেও লাভ হয়নি।
আরো পড়ুন: চাকরির জন্য নতুন উদ্যোগ, আগস্ট মাসেই এই আয়োজন করবে রাজ্য সরকার
সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চ পর্যন্ত গিয়ে মামলা এসে তীরের মতো বিঁধল সংসদের কাঁধেই। রক্তদান শিবির নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ।
শুক্রবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে রক্তদান শিবির সম্পর্কে বিচারপতি সিনহার আদেশ মানাই জরুরি। এই স্টোরি এটাই বলে যে আদালত এখন সাধারণের পক্ষে।