পশ্চিমবঙ্গের 42টি লোকসভা আসনের নির্বাচন সাতটি ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দার্জিলিং, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাটের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ধাপের ভোট 26 এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।এদিকে ভোটের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মীদের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস। তাঁদের বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আধার নম্বর, সবই নাকি চলে আসছে সামনে।
এমন পরিস্থিতিতে ভোটকর্মীরা গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। এই প্রথম নয়, এর আগেও তথ্য ফাঁস হয়েছে কর্মীদের। তখনও সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন কমিশনের কাছে। কোনও লাভ হয়নি। এবারেও হবে কিনা নিশ্চিত নেই।
কর্মীদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হচ্ছে
রাজনৈতিক তর্জার আবহে কোন পোলিং পার্টির সঙ্গে সরকারি কর্মী ডিউটি করছেন, কোন ব্লকের দায়িত্বে রয়েছেন, সব তথ্যই বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে ভোটকর্মী ও তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তার উপর খাড়া ঝুলছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে ভোটের ডিউটির চিঠি তো খামবন্দি অবস্থায় এসে পৌঁছোছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে। এর সত্ত্বেও কীভাবে ডেটা ফাঁস হচ্ছে
আরো পড়ুনঃ এইভাবে মানুষ ঠকানো আর চলবে না! ব্যাঙ্কগুলিকে সাফ জানিয়ে দিল RBI
হতে পারে বিক্ষোভ
যাতে সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তা বজায় থাকে, তার জন্য তাঁদের ভোটের দায়িত্বের স্থান পরিবর্তন করতে হবে। আর এই স্থান পরিবর্তন না করা হলে নির্বাচন কমিশনের অফিসে বিক্ষোভ হতে পারে।
এদিকে সবে মাত্র দুর্নীতির অভিযোগে প্রায় 26000 হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এই নিয়োগ বাতিলের আগেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের অফিসের সূত্রগুলি বলছে যে 25,000 টিচিং এবং অ-শিক্ষক কর্মীদের মধ্যে প্রায় 40% যাদের পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে তাঁদের ভোটের দায়িত্বের জন্য নেওয়া হয়েছিল।
আরো পড়ুনঃ পিএম কিসানের ১ টাকাও ঢুকবে না! যদি এই কাজটি না করা হয়
আর এখন কমিশনের সামনে চ্যালেঞ্জ হল সক্রিয় ভোটের দায়িত্ব থেকে প্রায় 10,000 কর্মীকে প্রতিস্থাপন করা। কমিশন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলেছে। সরকার সূত্র বলছে, শেষ মুহূর্তে নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে এ ধরনের হাজার হাজার কর্মচারীকে বদলি করা কঠিন।