পোস্ট অফিসে লেনদেন বা নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে প্রতারণা রুখতে এবার বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় পোস্ট। ২০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে দেশ জুড়ে চালু করা হচ্ছে আধার যাচাই ও বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে ই-কেওয়াইসি (e-KYC) প্রক্রিয়া।
নতুন নিয়মে কি কি পরিবর্তন আসছে?
ভারতীয় পোস্টের এই নতুন নিয়মগুলিতে যে সমস্ত পরিবর্তন আসবে সেগুলি হল-
১. অ্যাকাউন্ট খোলার সহজতর
ই-কেওয়াইসি (e-KYC)-এর মাধ্যমে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আর কোনরকম কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে না। গ্রাহকরা শুধুমাত্র আধার যাচাই এবং বায়োমেট্রিক আপডেটের মাধ্যমেই তাদের অ্যাকাউন্ট সহজেই খুলতে পারবেন।
২. লেনদেনের নতুন প্রক্রিয়া
ই-কেওয়াইসি (e-KYC)-এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা পর্যন্ত একবারে তোলা যাবে। মাসে সর্বাধিক ৫০০০০ টাকা তোলা যাবে। এর বেশি টাকা তুলতে চাইলে পুরনো পদ্ধতিতে ভাউচার জমা দিতে হবে। তাই এবার থেকে লেনদেন আরো সহজতর হয়ে যাচ্ছে।
৩. প্রতারণা রোধ
আধার যাচাই এবং বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক হওয়ায় গ্রাহকদের আসল পরিচয় নিশ্চিত করা সহজ হবে। ফলে প্রতারণার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে এটা আশা করা যায়।
পুরনো গ্রাহকদের জন্য বিশেষ নির্দেশ
যারা ইতিমধ্যেই ভারতীয় ডাক বিভাগের পুরনো গ্রাহক তাদেরকে আধার যাচাইয়ের মাধ্যমে ই-কেওয়াইসি (e-KYC) সম্পন্ন করতে হবে। এই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরেই আধার ব্যবহার করে লেনদেন করা যাবে।
বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের মাধ্যমে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI) থেকে গ্রাহকের নাম, অভিভাবকের নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ এবং ঠিকানা সহ সমস্ত তথ্য সরবরাহ করা হবে। তবে ভারতীয় ডাক বিভাগের মাধ্যমে শুধুমাত্র অভিভাবকের নাম পরিবর্তন করা যাবে। বাকি তথ্য পরিবর্তন করতে হলে আধার আপডেট করতে হবে।
ডাক বিভাগের উদ্দেশ্য
ভারতীয় ডাক বিভাগ চায় কাগজপত্রের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে আনা এবং যেন কোনরকম প্রতারণার ঝুঁকি না থাকে সেদিকে মনোযোগ দেওয়া। নতুন পদ্ধতিতে গ্রাহক সেবা আরো দ্রুত এবং সুরক্ষিত হবে বলে দাবি করছে ভারতীয় ডাক বিভাগের কর্তৃপক্ষ।
২০২৪ সালের ২৬শে নভেম্বর থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই পরিষেবা চালু করা হয়। সফল পরীক্ষার পর এই পদ্ধতি ৬ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে কার্যকর হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লক্ষীর ভান্ডারের টাকা জানুয়ারি মাসে কবে ঢুকবে? এই ভুল করলে আপনি টাকা পাবেন না
ইন্ডিয়ান পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সুবিধা
যারা ইন্ডিয়ান পোস্ট পেমেন্ট ব্যাংকের গ্রাহক, তারা ইতিমধ্যেই তাদের আধার কার্ড ব্যবহার করে লেনদেনের সুবিধা পেয়ে থাকেন। এখন থেকে এই সুবিধা সাধারণ ডাকঘর বা পোস্ট অফিসের গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ডাক বিভাগের এই উদ্যোগ গ্রাহক পরিষেবায় একটি নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে। আধার কার্ড যাচাই এবং বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে প্রতারণা রোধ করার পাশাপাশি পরিষেবা আরো উন্নত এবং দ্রুত করা সম্ভব হবে।