দিনের পর দিন উর্ধ্বগতিতে ঠেকছে রান্নার গ্যাসের দাম। মাসের শুরুতেই সিলিন্ডারের দাম সাধারণ মানুষের পকেটে চাপ সৃষ্টি করছে। আর বিশেষ করে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারগুলি তো ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। তবে এবার সেই সমস্যার সমাধান করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ।
সূত্রের খবর, নদীয়ার কল্যাণীতে প্রথমবারের মতো পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ (Pipeline Gas Service) শুরু হয়েছে। রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও পৌরসভার ঘরে ঘরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে এলপিজি পৌঁছেছে। আর এর পেছনে রয়েছে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের উদ্যোগ।
কীভাবে কাজ করছে এই প্রকল্প?
বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত জানা গেল, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে বরাবর গ্যাস পাইপ লাইন বসানোর কাজ খুব দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। আর এই পাইপ লাইন ব্যারাকপুর পর্যন্ত পৌঁছবে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই বারাসাতে গ্যাস সরবরাহ পৌঁছে দেওয়া হবে বলে খবর। এর মাধ্যমে শহরের গৃহস্থলীর কাজ অনেকটাই সহজতর হবে। এমনকি মানুষ খুব সাশ্রয়ী মূল্যে গ্যাস সরবরাহ পাবে।
পরবর্তী লাইন কোথায় বসবে?
সূত্র বলছে, কল্যাণীর পরবর্তী লক্ষ্য শ্যামনগর এবং ব্যারাকপুর। আর এই দুই এলাকায় মাদার CNG স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। একসঙ্গে কলকাতা এবং তার আশেপাশে মোট ১৫ টি নতুন সিএনজি স্টেশন তৈরির কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে।
সবথেকে বড় ব্যাপার, হুগলিতে কিছু প্রশাসনিক জটিলতার কারণে এই প্রকল্পের অগ্রগতি স্বাভাবিকভাবে ব্যাহত হয়েছে। তবে গ্যাস সংস্থা জানিয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।
আরও পড়ুন: ২০১০ সালের পর ইস্যু হওয়া বাংলার সব OBC সার্টিফিকেট বাতিল! রায় দিল হাইকোর্ট
সাধারণ মানুষকে ছাড়া কী সুবিধা পাবে?
সরকারের এই প্রকল্প একবার সব জায়গায় বাস্তবায়িত হলে সিলিন্ডার বুকিং করা বা ভাড়া করায় আর কোনও ঝামেলা থাকবে না। এমনকি খুব কম দামে গ্যাস পাওয়া যাবে এবং রান্নার গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ারও কোনোরকম ভয় থাকবে না। সবথেকে বড় ব্যাপার, দূষণ এবং ঝুঁকিও অনেকটাই কমবে।
পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম এত বড় পরিসরের রান্নার গ্যাস সরবরাহের আধুনিক ব্যবস্থা করে উঠেছে। আর এই প্রকল্প শুধুমাত্র শহরের জন্য নয়, বরং ভবিষ্যতে জেলার বিভিন্ন এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে। এখন দেখার, কত তাড়াতাড়ি এই প্রকল্প এগোয়।