আগামী ১ আগস্ট থেকে বদলে যাচ্ছে ইউপিআই সিস্টেমে (Phonepe, Paytm, Google Pay) একাধিক নিয়ম। হ্যাঁ, আসছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনগুলি শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত দিক থেকে নয়, বরং সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের ডিজিটাল লেনদেন সরাসরি প্রভাব ফেলবে।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, ঠিক কী কী পরিবর্তন আসবে এবং এই পরিবর্তনগুলো ঠিক কীভাবে প্রভাব ফেলবে।
কেন আনা হচ্ছে এই পরিবর্তন?
সম্প্রতি এনপিসিআই জানিয়েছে, এই নতুন নিয়মের উদ্দেশ্য একটাই—ইউপিআই ব্যবস্থাকে আরো দ্রুত, নিরাপদ এবং স্বচ্ছ করে তোলা। প্রতিদিন প্রায় কোটি কোটি মানুষ যে হারে ইউপিআই ব্যবহার করছে, তাতে সার্ভারের উপর প্রেসার, বিভ্রাট আর সাইবার ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। আর সেই চ্যালেঞ্জ রুখতেই এই পদক্ষেপ।
কী কী পরিবর্তন আনা হচ্ছে?
ব্যালেন্স চেকের উপর দৈনিক সীমা
আগামী ১ আগস্ট থেকে আপনি দিনে সর্বোচ্চ ৫০ বার কোনও একটি অ্যাপে নিজের অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। আর যারা বারবার ব্যালেন্স চেক করেন, তাদের জন্য এই নিয়ম কিছুটা ঝামেলার কারণ হতে পারে। কিন্তু এনপিসিআই বলেছে, এই সীমা সার্ভারের উপর অপ্রয়োজনীয় চাপ কমাবে।
লিংকড অ্যাকাউন্ট চেক
আপনার মোবাইল নম্বরের সঙ্গে কোন কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত রয়েছে, তা দেখার সংখ্যাও এবার সীমিত করে দেওয়া হচ্ছে। দিনে এই তথ্য আপনি সর্বোচ্চ ২৫ বার চেক করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
অটো ডেবিট পেমেন্ট টাইম স্লট
যদি আপনার ওটিটি সাবস্ক্রিপশন বা এসআইপির মতো কোন অটো ডেভিড লেনদেন চালু থাকে, তাহলে এবার শুধুমাত্র তিনটি নির্দিষ্ট সময়েই তা প্রসেস হবে। প্রথমত সকাল ১০টার আগে, দ্বিতীয়ত দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে এবং তৃতীয়ত রাত সাড়ে ৯টার পর। আর এই সীমা সার্ভারের ওভারলোড কমাবে বলে জানিয়েছে এনপিসিআই।
ফেলড পেমেন্ট স্ট্যাটাস চেক
যদি আপনার লেনদেন কোনও কারণে ব্যর্থ হয় বা আটকে যায়, তাহলে দিনে সর্বোচ্চ তিন বার আপনি সেই স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন এবং দুবার চেকের মধ্যে ৯০ সেকেন্ডের ব্যবধানে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রকাশিত হল দ্বিতীয় SLST পরীক্ষার দিনক্ষণ, দেখে নিন একঝলকে সময়সূচী
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন থেকে অরজিনাল নাম দেখার ব্যবস্থা বদলে গিয়েছিল। আর সেক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তিকে টাকা পাঠানোর সময় ইউপিআই অ্যাপে সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা আসল নামটি দেখা যাচ্ছিল। ফলে ভুল অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমেছে।
পাশাপাশি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে সর্বোচ্চ ১০টি করে চার্জব্যাক করা যেত এবং একই সংস্থার বিরুদ্ধে ৫টির বেশি চার্জব্যাক করার সুবিধা দেওয়া হচ্ছিল না। এতে দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যবহার কমেছে এবং জালিয়াতির সম্ভাবনা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।