বড়দিনের আগে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষাকে আরও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে। এই উদ্যোগটি রাজ্যের জনগণকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করার জন্য সরকার কর্তৃক চালু করা বেশ কয়েকটি কল্যাণমূলক কর্মসূচির অংশ। যাতে কোনও যোগ্য শিক্ষার্থী আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পিছিয়ে না পড়ে।
তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে আরও এক সুবিধা
সম্প্রতি চালু হওয়া এই উল্লেখযোগ্য প্রকল্পটি হল ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প। এই কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীরা পোশাক, জুতো, সাইকেল এবং এমনকি তাদের পড়াশোনার জন্য ট্যাবলেট কেনার জন্য টাকা পায়।
আজকের ডিজিটাল বিশ্বে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষায় নিযুক্ত রাখতে চায়, তাই এই উদ্যোগটি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত রাখতে এবং কার্যকরভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সহায়তা করার লক্ষ্যে।
সরকার কর্তৃক চালু করা এই প্রকল্পটি শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে রেফারেন্স বই সরবরাহ করে। শিক্ষার্থীদের উপর আর্থিক বোঝা কমাতে এটি একটি বড় পদক্ষেপ, বিশেষ করে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য।
এই বছরগুলিতে পরীক্ষার জন্য পড়াশোনার চাপ বেশি থাকে এবং শিক্ষার্থীদের প্রায়শই তাদের নিয়মিত পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি অতিরিক্ত বই, যা রেফারেন্স বই প্রয়োজন হয়। তবে, অনেক শিক্ষার্থী, বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারের, এই অতিরিক্ত বইগুলি কিনতে অসুবিধা বোধ করে।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে রেফারেন্স বই সরবরাহ করবে। রাজ্য গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বারাসতে আয়োজিত একটি বইমেলায় এই ঘোষণা করেছিলেন।
ওই মেলায় কবি শ্রীজাত ব্যানার্জি এবং বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী সহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। নতুন এই উদ্যোগকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন কারণ এর লক্ষ্য হল সকল শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা।
মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ব্যাখ্যা করেছেন যে যাদের রেফারেন্স বইয়ের প্রয়োজন, তাঁরা তাঁদের স্থানীয় লাইব্রেরিতে আবেদন করতে পারেন এবং তারা বিনামূল্যে এই বইগুলিও পাবেন। এই পদক্ষেপ রাজ্যে শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য সরকারের চলমান প্রচেষ্টার অংশ।
তবে, প্রথম পর্যায়ে সমস্ত স্কুল এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে কিছু উদ্বেগ রয়েছে, কারণ প্রথমেই প্রতিটি স্কুলে পৌঁছানো কঠিন হতে পারে। তবুও, এই নতুন উদ্যোগটি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উপর ইতিবাচক প্রভাবের জন্য প্রশংসিত হচ্ছে।