OBC Certificates cancelled and its Problem
WhatsApp Group Join Now

OBC সার্টিফিকেট বাতিল করে আদালত তার সিদ্ধান্তে বলেছিল যে যারা সংরক্ষণের সুবিধা নিয়ে সরকারি চাকরি করছেন বা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এটি কোনও পার্থক্য করবে না। তাহলে যে সমস্ত দরিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী গরিব পড়ুয়ারা OBC সার্টিফিকেটের টাকা তুলে পড়াশোনা করছেন, তাঁদের কী হবে? আর অন্যান্য সুযোগ সুবিধাগুলোই বা কী হবে?

ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের কারনে কী কী সমস্যা হবে?

১) আদালতের রায়ে যারা চাকরি করছেন, তাঁদের কোনও সমস্যা না হলেও, তফসিলি জাতি, তফসিলি জনজাতি বা ওবিসির ভবিষ্যৎ চাকরিপ্রার্থীরা অসুবিধায় পড়বেন।

২) ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে জটিলতা থাকায় রোস্টার নতুন করে তৈরি সম্ভব নয়। ফলে এখন কোনও নিয়োগ করা যাবে না।

৩) সার্টিফিকেট ব্যবহার করে স্কলারশিপ যাঁরা পাচ্ছেন, তাঁদের অসুবিধা নেই। কিন্তু যাঁরা সার্টফিকেটটি প্রথম ব্যবহার করবেন, ভাবছিলেন, তাঁরা আর উপকৃত হবেন না।

এদিকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বাঙ্গার এলাকায় বসবাসকারী পারিবারিক অবস্থার কারণে বেশি লেখাপড়া করতে পারেননি। কিন্তু কৃষিকাজ করে ছোট ভাইকে পড়াচ্ছেন। মাসুদ বলেছেন, ‘আমি ভেবেছিলাম লেখাপড়া শেষ করে আমার ভাই সরকারি চাকরি পাবে। তাহলে পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। কৃষিকাজ এখন আর লাভজনক নয়। কিন্তু এখন কী হবে, বুঝতে পারছি না।’

WhatsApp Group Join Now

পরের বছর রাজ্য প্রশাসনিক পরিষেবা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অনেকেই। কিন্তু আদালতের সিদ্ধান্তে সে স্বপ্ন ভেস্তে গিয়েছে। এখন আবার সাধারণ ক্যাটাগরিতেও চাকরি পাওয়া কঠিন। সংরক্ষিত OBC প্রার্থীদের এবার জেনারেলদের নিয়মে পরীক্ষায় বসতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা আদালতের এই সিদ্ধান্ত তাই মেনে নেবেন না বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন ভোট মিটলে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন।

কী বলছেন ভুক্তভোগীরা?

25 বছর বয়সী যুবকেরও একই দাবি। তিনি বলছেন, তিন বছর আগে স্নাতক হওয়ার পর থেকে তিনি সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সরকার কিছু না করলে আমার সরকারি চাকরির স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। এ অবস্থা শফিকুল্লাহর একার নয়। 2010 সালের পরে জারি করা সমস্ত অন্যান্য অনগ্রসর জাতি (OBC) সার্টফিকেট বাতিল করা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের পরে, তাঁর মতো হাজার হাজার যুবক নিজেদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত দেখছেন।

আরো পড়ুনঃ রাজ্যের ৬ টি জেলায় পাইপলাইনে রান্নার গ্যাসের কাজ শুরু, আপনার জেলায় কবে?

আদালতের রায়ের সঙ্গে সহমত দিচ্ছেন কারা?

জেনারেল ক্যাটাগরির এক শিক্ষক এদিকে বলছেন, সংরক্ষণের কারণে চাকরি পেতে তাঁর অনেক বছর লেগেছে। এখন স্বাধীনতার এত বছর পরেও সংরক্ষণ তো অর্থহীন। সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে অনগ্রসর শ্রেণীর লোকদের জন্য আরও ভাল উপায়ে সাহায্য করা যায়। ওই সংরক্ষিত পদের জন্য জেনারেলদের চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়। তাই আদালতের সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক। এর দরুণ সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *