18 সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে এনপিএস বাৎসল্য যোজনা (NPS Vatsalya Scheme) আনলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন৷ ভারতীয় শিশুদের আর্থিক নিরাপত্তা দিতে, অভিভাবকদের মাথা থেকে ছোটদের ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা দূর করতে, এই যোজনা চালু করা হচ্ছে।
পেনশন অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করতে দেয় এই যোজনা৷ 2024-25 সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে NPS বাৎসল্য যোজনার কথা উঠেছিল। এবার তার বাস্তব রূপ সামনে।
NPS বাৎসল্য যোজনা সম্পর্কে বিস্তারিত
সন্তানদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে বাবা-মা বা অভিভাবকরা এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন। শিশুরা যাতে বড় হয়ে আর্থিকভাবে স্থিতিশীল থাকে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি শুরু করা হয়েছে।
এই স্কিমে বিনিয়োগ করার কোনো যোগ্যতা নেই অর্থাৎ ভারতের সকল নাগরিক এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। এই স্কিমটি পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (PFRDA) দ্বারা পরিচালিত হবে। এনপিএস বাৎসল্য যোজনায় বিনিয়োগের জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু থাকবে।
বিনিয়োগের পরিমাণ:
অভিভাবকরা ন্যূনতম 1000 টাকা করে বার্ষিক বিনিয়োগ করতে করতে পারেন৷ সন্তানের পেনশন অ্যাকাউন্টে এইভাবেই বার্ষিক 1,000 টাকা জমা পড়বে। এই স্কিমটি সকলের জন্য উপলব্ধ, আর্থিক নিরাপত্তা দেয়।
লক-ইন সময়কাল:
এই স্কিমে 3 বছরের লক-ইন পিরিয়ড রয়েছে। তারপর থেকে, বাবা-মায়েরা সন্তানের শিক্ষা বা গুরুতর অসুস্থতার মতো নির্দিষ্ট প্রয়োজনের জন্য জমা করা পরিমাণের 25% তুলতে পারবেন। এটি সর্বোচ্চ তিনবার করা যেতে পারে।
স্কিমের মূল সুবিধা কী কী?
- শিশুরা অল্প বয়স থেকেই পেনশন প্রকল্পের সাথে যুক্ত থাকে।
- দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ টাকার অঙ্ক বাড়ায়।
- পিতামাতারা তাঁদের বিনিয়োগের উপর কর সুবিধা পেতে পারেন।
- পিতামাতারা কত এবং কত ঘন ঘন বিনিয়োগ করবেন তা বেছে নিতে পারেন।
- অ্যাকাউন্টটি সন্তানের নামে থাকে, যা তাদের ভবিষ্যতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
স্কিমটির মূল বৈশিষ্ট্য কী কী?
যোগ্যতা: যে কোনও ভারতীয় নাগরিক তাদের সন্তানের জন্য একটি অ্যাকাউন্ট খুলতেপারেন।
নিয়মিত বিনিয়োগ: পিতামাতারা তাঁদের সন্তানের NPS অ্যাকাউন্টে ধারাবাহিকভাবে টাকা জমা রাখতে পারেন।
উত্তোলন: ছোটর 18 বছর বয়সে, জমা করা টাকা তুলতে পারবেন। এরপর 60 থেকে শুরু করে পেনশনও পেতে পারে।
স্কিমের মেয়াদ কখন পূর্ণ হবে?
শিশুর বয়স 18 বছর হলেই হবে। তখন যদি তহবিলের পরিমাণ 2.5 লক্ষ টাকার কম হয় তবে কিছুটা টাকা তোলা যেতে পারে। একই সময়ে, যদি পরিমাণ 2.5 লক্ষ টাকার বেশি হয়, তবে পরিমাণের 20 শতাংশই তোলা যাবে। বাকি টাকা দিয়ে অ্যানুইটি কেনা যাবে।
একই সময়ে, শিশুর 18 বছর পূর্ণ হওয়ার পরেও এই স্কিমটি চালু রাখা যেতে পারে। যদি শিশুর 18 বছর পূর্ণ হওয়ার পরেও এই স্কিমটি চালিয়ে যেতে হয়, তবে আপনাকে এটি সম্পর্কে আগেই জানাতে হবে। এর পরে, এই যোজনকে এনপিএস টিয়ার -1 এ রূপান্তরিত করা হবে। শিশুর 18 বছর পূর্ণ হওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে আবার KYC করতে হবে।
আরও পড়ুন: দারুণ সুখবর দিল সরকার! এখনও ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেশনে এই সুবিধা পাবেন
আপনার কি বিনিয়োগ করা উচিত?
এই স্কিমটি অভিভাবকদের জন্য তাঁদের সন্তানের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ। তাই হাতছাড়া না করাই ভালো।