পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার অভিযোগ করেছেন যে কেন্দ্র সামাজিক কল্যাণ প্রকল্পের জন্য রাজ্যকে তহবিল দিচ্ছে না তবে তাঁর সরকার অর্থের ব্যবস্থা করবে। দলীয় প্রার্থী দেবের পক্ষে ঘাটালে একটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন মমতা।
তিনি অভিযোগ করেন, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করছে। বিজেপিকে নিশানা করে তিনি প্রশ্ন করেন, মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে 15 লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কী হল? বলা বাহুল্য, এভাবেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের নাকচ করাকে বার বার বিঁধে চলেছেন মমতা।
কেন্দ্র টাকা দেয়নি তো তাতে কী। পিছিয়ে আসেননি নিজ দায়িত্ব থেকে। বাংলা নিজের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রকল্প চালু করে ফেলেছে। বাংলার টাকাতেই বাংলাই বাড়ি রাস্তা হচ্ছে। নিত্য নতুন প্রকল্প চালু হচ্ছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও রাজত্ব করছে।
আরো পড়ুনঃ রান্নার গ্যাস দেখতে বাড়িতে লোক আসবে! এইগুলি ঠিক করে রাখুন
রাজ্য সরকার লোকসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আর্থিক বরাদ্দ বাড়িয়েছে । সাধারণ মহিলাদের 500 টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হবে 1,000 টাকা এবং তফশিলি জাতি মহিলাদের 200 টাকা বাড়িয়ে 1,200 টাকা দেওয়া হবে৷ সরকারের তথ্যমতে, 2 কোটি 11 লাখ নারী এ সুবিধা পাচ্ছেন।
বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার?
কিন্তু হঠাৎ যদি এই প্রকল্পটিই বন্ধ হয়ে যায়! এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কি একশো দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার মতো কেন্দ্র সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ টাকাটাও আটকে দিতে পারে বলে করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? কী হয়েছে আদতে? আসলে ব্যাপার কী?
আরো পড়ুনঃ Paytm এর গল্প গেলো, এবার PhonePe এবং Google Pay এর উপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা
দেখুন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে একটা উল্লেখযোগ্য যোগ্যতার উল্লেখ আছে। যেখানে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক না হলে এই জনপ্রিয় প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা দেওয়া হবে না। আর বাংলা তথা দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে CAB চালুর প্রস্তুতি।
বাংলাতেও CAA (Citizenship Amendment Act), NRC (National Register of Citizens) আনতে চায় কেন্দ্র। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এগুলো আনা হলে রাজ্যের মানুষ বাংলাদেশি হয়ে যাবেন। আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাবেন না।