গাড়ি নিয়ে কারিকুরির দিন শেষ। এবার কোনও নাবালক (১৮ বছরের কম বয়সী) গাড়ি চালাতে গিয়ে ধরা পড়লে ২৫ হাজার টাকা তৎক্ষণাৎ জরিমানা দিতে হবে! আগামী মাস অর্থাৎ ১ জুন থেকে এই নিয়ম চালু হয়ে যেতে চলেছে গোটা দেশজুড়ে।
ট্রাফিক আইন সংক্রান্ত নিয়ম কানুন ক্রমশই কড়া করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। পথ দুর্ঘটনা কমাতে এবং মানুষের জীবনের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। বিভিন্ন ঘটনায় অতীতে দেখা গিয়েছে সমৃদ্ধশালী পরিবারগুলোর কম বয়সী ছেলেমেয়েরা ট্রাফিক আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে।
এদিকে বয়স অল্প হওয়ায় এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না থাকায় অনেক সময়ই তারা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে। অনেক নিরীহ পথচারীর মৃত্যু হয় তাতে। সেই ঘটনায় লাগাম পড়াতেই এবার আইন ভাঙলে মোটা টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন ট্রাফিক আইন আগামী ১ জুন থেকে গোটা দেশে বলবত হবে। সেই আইন অনুযায়ী কোনও নাবালক গাড়ি চালাতে গিয়ে ধরা পড়লে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। সেইসঙ্গে যে গাড়িটি সে চালাচ্ছিল তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হবে। তবে যদি কারো বয়স ১৮ এর বেশি হয় এবং তার কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে তবে সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবেনা।
আরো পড়ুনঃ দাম কমলো পেট্রোলের! এইসমস্ত জায়গায় ১০০ টাকার নীচে, কোলকাতায় দাম কত?
পাশাপাশি অভিযুক্ত নাবালককে ২৫ বছর বয়সের আগে আর ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে না। উল্লেখ্য ভারতবর্ষে ১৮ বছর বয়স হলে তবেই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়। তবে ১৬ বছর বয়স হলে 50 cc পর্যন্ত গতিবেগের বাইক চালানোর জন্য লাইসেন্স পাওয়া যায়। যেটা ১৮ বছর বয়স হলে আপডেট করে নেওয়ার সুযোগ থাকে।
ট্রাফিক আইন নিয়ে এই কড়াকড়ি শুধু যে নাবালক চালকদের ক্ষেত্রেই হয়েছে তা নয়। এবার থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কেউ গাড়ি চালাতে গিয়ে ধরা পড়লে তাকে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত ফাইন করা হবে। সরকার পরিষ্কার জানিয়েছে পথ দুর্ঘটনা ঠেকাতে কঠোরভাবে এই ট্রাফিক আইন গোটা দেশে বলবত করা হবে। এই নিয়ে কোনওরকম শিথিল মনোভাব তারা বরদাস্ত করবে না।
আরো পড়ুনঃ ১৪ জুনের পর পুরোনো আধার কার্ড সব বাতিল হবে? এই বিষয়ে কী বলছে আধার দফতর?
পাশাপাশি সরকারের সিদ্ধান্ত থেকে আরেকটি বিষয় পরিষ্কার, আগামী মাস থেকে ট্রাফিক আইন ভাঙলে অনেকের গোটা মাসের আয়ের একটা বড় অংশ জরিমানা দিতেই খরচ হয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন কেন্দ্রীয় সরকারের এই কঠোর সিদ্ধান্ত আদতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে সহায়ক হবে।