এবার খবর আছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের, নতুন নিয়ম বেঁধে দিল প্রশাসন

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সিভিক ভলান্টিয়াররা, সাধারণ মানুষের কোপে পড়ছেন এখন। না না করে, দু’টি বড় অভিযোগে জেরবার তাঁদের জীবন। কয়েকজন ভলান্টিয়ারের অন্যায়ের সাজা ভুগতে হবে সকলকেই। নিস্তার নেই। কলকাতার পুলিশের নতুন নিয়ম শুনলে নির্ঘাত আকাশ ভেঙে পড়বেন। রাস্তায় সুরক্ষা দেওয়ার কাজ করতে গিয়ে তাঁরা যে এমন ভাবে বিপাকে পড়বেন, ভাবেননি হয়ত। 

সম্প্রতি যে দুই প্রধান কারণে তাঁরা বিপদ সীমা পেরিয়ে গিয়েছেন, তাঁর মধ্যে একটি হল আর জি কর কেস এবং একটি ছাত্র বিক্ষোভে বিঘ্নিত ঘটনা।

আর জি কর মামলায়, সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাই-কে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে রাই যখন হাসপাতালে প্রবেশ করেছিলেন তখন তিনি মাতাল অবস্থায় ছিলেন। যা রীতিমত হেলিয়ে দিয়েছে আইনি সুরক্ষা বিভাগকে।

এরই সঙ্গে আরও একটি উদ্বেগজনক ঘটনা হল, একজন সিভিক ভলান্টিয়ার সিঁথি জংশনে একটি ছাত্র বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধেও মাতাল অবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। ফলত এই কর্মকর্তাদের প্রতি জনসাধারণের আস্থা ক্রমশ কমতে শুরু করেছে বললেই চলে। জানা গিয়েছে, সিঁথি জংশনের সাম্প্রতিক ঘটনায়, প্রায় পাঁচ ঘন্টা রাস্তা বন্ধ ছিল। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার এবং জড়িত একজন ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।

সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে কী কী নিয়ম কড়াকড়ি করা হয়েছে?

এমন পরিস্থিতিতে এই সমস্যাগুলির সমাধান করতে, কলকাতা পুলিশ সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য তাদের নিয়ম কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

1) ডিউটিতে থাকাকালীন ভলান্টিয়াররা মদ্যপান করা যাবে না।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

2) মদ্যপান করে ধরা পড়লে স্বেচ্ছাসেবকদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

3) এমনকি যাঁরা আগে মাতাল অবস্থায় ধরা পড়েছেন তাঁরা চাকরি হারাতে পারেন।

4) ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে যে কোনও অভিযোগ এলে তৎক্ষণাৎ তার তদন্ত করা হবে। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের মতো উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকরা তদন্ত করবেন।

5) কোনও স্বেচ্ছাসেবক দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হবে।

আরও পড়ুনঃ

সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, কলকাতা পুলিশের নতুন পদক্ষেপের লক্ষ্য হল অন্য। সিভিক ভলান্টিয়াররা যাতে পেশাদার এবং দায়িত্বশীলভাবে কাজ করেন, তা নিশ্চিত করাই হবে কলকাতা পুলিশের প্রথম কাজ। এইভাবে সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। ভবিষ্যতের সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করার জন্য কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপ প্রশংসিত হচ্ছে।

Leave a Comment