মে মাসের শুরুতেই পারদ একেবারে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। একদিকে টানা কয়েকদিন বৃষ্টিতে খানিকটা স্বস্তি মিললেও ফের যেন জাঁকিয়ে পড়েছে গরম। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই যেন বাড়ছে গরম। তাপমাত্রায় হাসফাঁস করছে রাজ্যবাসী। আর এরকম পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে এবার রাজ্য সরকার জবাব দিল।
ছুটি এগিয়ে আনা হলো স্কুলগুলিতে
তাপপ্রবাহ এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে আগেই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়ে দিয়েছিল যে, এবছর গরমের ছুটি নির্ধারিত সময়ের আগেই দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ৩০ এপ্রিল থেকে স্কুল ছুটি দেওয়ার ঘোষণা করেন। মূলত প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সমস্ত সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলগুলিতে এই নিয়ম কার্যকর।
তবে শেষ ছুটি কবে?
যেখানে আগেভাগেই ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছে, সেখানে ছুটি শেষ হওয়ার দিন কবে নির্ধারিত হচ্ছে, এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মনে। সাধারণত স্কুল ছুটির ঘোষণা হলে শুরু ও শেষ দিন জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে এবার ছুটির শেষ তারিখ নিয়ে সরকার কোনও কিছুই জানায়নি। ফলে স্কুলগুলিও কিছু জানাতে পারেনি।
এদিকে ২০২৩ সালে গরমের প্রকোপে ছুটি আগেভাগেই ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। তবে গরম না কমার জন্য সেই ছুটি আবারো পরে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। তাই এবারও অনেকেই ধরে নিচ্ছে যে, পরিস্থিতি অনুযায়ী গরমের দাপট যদি বাড়ে, তাহলে ছুটি আরো বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: মে মাসেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা! বড় ঘোষণা নবান্নের
নবান্ন তরফে কী বার্তা?
এদিকে নবান্নের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাপ প্রবাহ এবং গরমের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে ছুটি বাড়ানো বা কমানো হতে পারে। সেই সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে। তবে এখনও পর্যন্ত ছুটির শেষ দিন স্পষ্ট জানানো যাচ্ছে না। অনেকে মনে করছেন যে, ছুটি হয়তো আরো সংক্ষিপ্ত করা হতে পারে।
আর এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের রাজ্য সরকারের পরবর্তী ঘোষণার দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ স্কুল কর্তৃপক্ষ বা শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে কোনও নির্দেশ এখনো দেওয়া হয়নি। তাই নিজেরা নজর রাখলে আগেভাগেই অবগত হওয়া যাবে।