রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চলমান সমস্যা। তা সত্ত্বেও অনেক চাকরিপ্রার্থী এখনও সরকারি চাকরি পেতে আগ্রহী। সম্প্রতি, সেই দিকেই তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশের 12,000 পদ তৈরির ঘোষণা করেছেন। এরই পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ডানার কারণে ধেয়ে আসা চ্যালেঞ্জগুলির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রশাসন আরও কর্মী নিয়োগ করতে চায়।
কোন কোন পদে চাকরির সুযোগ?
বৃহস্পতিবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে, এমনই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রশাসন চারটি বিভাগে 100 জনকে নিয়োগের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে: স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং অর্থ।
এর মধ্যে 57 পদ থাকবে সহযোগী কর্মবন্ধু পদের জন্য। কর্মী নিয়োগের পাশাপাশি, মন্ত্রিসভা দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডের অধীনে 660 মেগাওয়াট সুপারক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে।
কৃষি খাতের জন্য উদ্যোগ রাজ্যের
কৃষি প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য, 1,500 কোটি টাকা ঋণ নিতে প্রস্তুত রাজ্য। এই ঋণ পাওয়া যাবে ওয়েস্ট বেঙ্গল কোঅপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক লিমিটেডের নাবার্ড এবং রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে। মন্ত্রিসভা আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রাজ্য সরকার নিজেই এই ঋণের গ্যারান্টার হবেন।
কৃষি দুর্নীতির মোকাবেলা কীভাবে করবে?
এছাড়াও সরকার সারের কালোবাজারি মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছে, যা একটি চাপের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই খোলাবাজারে সার বিক্রি নিয়ে কৃষি বিভাগের কাছে অসংখ্য অভিযোগ এসেছে। এর জবাবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষি বিভাগকে অবিলম্বে তদন্ত শুরু করার এবং এই অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য মনিটরিং বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী রোজগার মেলায় ৫১,০০০ নিয়োগ! কবে, কোথায় হবে দেখুন
মন্ত্রিসভার বৈঠকের সময়, মুখ্যমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি পরিচালনা করতে স্থানীয় মন্ত্রীদের নিজ নিজ এলাকায় পরিদর্শন করার নির্দেশও দেন। সবমিলিয়ে দেখা গিয়েছে, দানার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের তাৎক্ষণিক প্রয়োজনগুলিকে মোকাবেলা করার পাশাপাশি রাজ্যে কর্মসংস্থান এবং কৃষি উন্নয়নের দিকেও নজর রাখছে রাজ্য সরকার।