সদ্যই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন মিটেছে। এই নির্বাচনের পরে বিজেপির দাপট কিছুটা কম হলেও আমাদের রাজ্যে তৃণমূলের দাপট কিন্তু একই রকম ভাবে রয়ে গেছে।
লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি কয়েকটা রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিলো, সেই বিধানসভা নির্বাচনের দিকে চোখ দিলে কিন্তু দেখা যায় যে, উড়িষ্যা বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফলাফল করেছে বিজেপি। প্রথমবারের মতো নবীনপট্টনায়ককে সরিয়ে মোহনচরণ মাঝি নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন।
গত বুধবার ১৫ জন মন্ত্রীসহ শপথ গ্রহণ পর্ব সেরে নেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি, এই শপথ গ্রহণের পরেই সরকার জনসাধারণের উদ্দেশ্যে একের পর এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছেন। যেমন করোনার সময় থেকে জগন্নাথ মন্দিরের চারটি প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয় কিন্তু কোভিড পর্ব মিটে গেলেও বাকি দরজা খোলা হয় নি, কেবলমাত্র প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া ছিলো, এবার সেই বন্ধ চারটি দরজা খোলার প্রস্তুতি নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি।
একটি সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রীত্ব গ্রহণের পর তাদের নেওয়া চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বিষয় বলতে গিয়ে মোহন চরণ মাঝি বলেন, “সরকার গঠনের পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে আমরা চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জগন্নাথ মন্দিরের চারটি প্রবেশদ্বার গত কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। বিজেপি নির্বাচনী ইস্তেহারে তা খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাই সাড়ে চার কোটি ওড়িয়াবাসীর ইচ্ছা ও আবেগকে সামনে রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মন্ত্রী পরিষদ মন্দির পরিদর্শন করবে এবং সরকারের উপস্থিতিতে চারটি প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়া হবে”
এছাড়া দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হিসেবে তার সরকার মন্দির সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের জন্য ৫০০ কোটি টাকা তহবিল গঠনের ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনের আগের ইস্তেহারে ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য হিসেবে ৩১০০ টাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো বিজেপি, এইবার সেই অনুযায়ী ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিতে ‘সমৃদ্ধ কৃষক’ প্রকল্পের অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। জানা গেছে ১০০ দিনের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন তারা।
আরো পড়ুনঃ পিএম কিষান নিয়ে মোদীর বড় ঘোষনা! ৬০০০ টাকা আর পাবেন না, এইভাবে আধার নম্বর জমা না দিলে
এছাড়া চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে মহিলাদের আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী এবং স্বনির্ভর করবার জন্য ‘সুভদ্রা যোজনা’ বলে একটি নতুন প্রকল্পের কথা বললেন মোহন চরণ মাঝি।
জানা যাচ্ছে যে এই সুভদ্র দুজনার মাধ্যমে প্রত্যেকটি মহিলাকে ৫০ হাজার টাকার ক্যাশ ভাউচার দেওয়া হবে এবং এই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সরকারি নির্দেশিকা এবং বিশদ কাঠামো তৈরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই পদক্ষেপগুলো খুব শীঘ্রই কার্যকর হতে চলেছে বলেও জানা যাচ্ছে।
উড়িষ্যার নবনির্বাচিত এই সরকার মহিলাদের আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী করবার জন্য তাদের ব্যবসা করতে প্রত্যেক মাসে ৪২০০ টাকা করে দেবে। মনে করা হচ্ছে, তাদের এই প্রকল্প জনসাধারণ এবং মহিলাদের জন্য বেশ উপকারী হবে।