সাম্প্রতিক দিনগুলিতে, সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প সহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য সরকারের দেওয়া টাকা ভুল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হওয়ার রিপোর্ট এসেছে।
পরিস্থিতি সম্ভাব্য জালিয়াতির তদন্তের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যাইহোক, ট্যাবের টাকা দিয়ে কেলেঙ্কারি শেষ হয়নি, এটাও সন্দেহ করা হচ্ছে যে প্রতারকরা কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য টাকাও হাতিয়ে নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বড়সড় পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার।
এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নারী ও শিশু কল্যাণ বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সমাজকল্যাণ পরিচালকদের কাছে একটি চিঠি জারি করেছে। সরকারি প্রকল্পগুলিতে আরও জালিয়াতি রোধ করার জন্য ছয়টি মূল নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
সরকার কর্তৃক গৃহীত 6 পদক্ষেপ
মহিলা ও শিশু কল্যাণ বিভাগ সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করার জন্য নিম্নলিখিত নির্দেশিকা জারি করেছে:
- পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন- হ্যাকারদের দ্বারা আক্রান্ত সমস্ত অ্যাকাউন্টে অবিলম্বে অননুমোদিত অ্যাক্সেস রোধ করতে তাদের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে।
- সফটওয়্যার এবং সিস্টেম আপডেট করুন- নিরাপত্তা দুর্বলতা এড়াতে সরকারি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজার এবং যেকোনো প্লাগ-ইন সর্বশেষ ভার্সনে আপডেট করা উচিত।
- বিপজ্জনক সফটওয়্যার আনইনস্টল করুন- তথ্য চুরি রোধ করতে সরকারি সিস্টেমে ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যার বা ম্যালওয়্যার অবিলম্বে আনইনস্টল করা উচিত।
- সিকিউরিটি সফটওয়্যার ইন্সটল করুন- সাইবার হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য সরকারি কাজে ব্যবহৃত সমস্ত কম্পিউটারে অ্যান্টি-ভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যার ইনস্টল করা আবশ্যক।
- সিস্টেমের নিয়মিত স্ক্যানিং- সম্ভাব্য হুমকিগুলি শনাক্ত করতে এবং দ্রুত ঝুঁকি দূর করার জন্য সমস্ত সরকারি সিস্টেমে নিয়মিত ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার স্ক্যান করা উচিত।
- সংবেদনশীল তথ্য অনলাইন সেভ নিষিদ্ধ- হ্যাকিং প্রচেষ্টার এক্সপোজার এড়াতে কর্মচারীদের ওয়েব পেজে গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড বা সংবেদনশীল ডেটা সেভ করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে নতুন পোর্টালে আবেদন শুরু! তাড়াতাড়ি জেনে নিন পুরো প্রক্রিয়া
যারা ট্যাবের টাকা পাননি, তাদের কী হবে?
খুশির খবর, ট্যাব অর্থ জালিয়াতির তদন্তে ইতিমধ্যে 22 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটাও নিশ্চিত করা হয়েছে যে যারা তাঁদের ট্যাবলেট পাননি তাদের ট্যাবের জন্য বরাদ্দ 10,000 টাকা তহবিল পুনরায় জারি করা হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা রোধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।