ঝড়ের গতিতে দৌড়োবে ইন্টারনেট। ভারত এবার নিয়ে আসতে চলেছে দুরন্ত গতির 6G পরিষেবা। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সরকার শুধু লঞ্চ করার জন্য দিন গুণছে। ভারতে এখন Jio এবং Airtel-এর মতো কোম্পানি প্রায় সব এলাকেই 5G নেটওয়ার্ক দিচ্ছে।
Vodafone-Idea এবং BSNL তাদের নিজস্ব 5G পরিষেবা চালু করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এবার তাই 6G-র পথে প্রথম দেশ হিসেবে হাঁটতে চায় ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন-আইডিয়া এবং বিএসএনএল-এর মতো টেলিকম সংস্থাগুলিকে 6G প্রযুক্তিতে কাজ শুরু করতে বলেছেন ইতিমধ্যেই।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছেন যে, ভারত প্রযুক্তিতে দ্রুত অগ্রগতি করছে। শীঘ্রই দেশ 6G পরিষেবা চালু করবে। প্রধানমন্ত্রী মোদির ঘোষণার পর, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতে 6G উপলব্ধ করার জন্য জোর দিয়েছেন।
টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে দেখা করলেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী
গত শুক্রবার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে দেখা করেছেন। এবং তাদের 6G প্রযুক্তির বিকাশে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করে এসেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, টেলিকম কোম্পানিগুলি তাদের নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে, বিদ্যুতের খরচ কমানো এবং শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছে।
জানা গিয়েছে, সুপার-ফাস্ট ইন্টারনেট পরিষেবার লক্ষ্যে, ভারতে 6G চালু করতে সহায়তা করার জন্য একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। ভারত ইতিমধ্যেই 5G পরিষেবায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। এবং সরকার স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে 5G এবং 6G উভয় নেটওয়ার্ককেই খুব নির্ভরযোগ্য করতে চাইছে৷ এর মধ্যে ভারতে 6G সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে। যাইহোক, 6G কবে উপলব্ধ হবে তার জন্য এখনও কোনও নির্দিষ্ট তারিখ প্রকাশ্যে আসেনি।
আরও পড়ুনঃ জিও সবাইকে দিচ্ছে ভিআইপি নম্বরের সুবিধা, এইভাবে নিতে হবে
6G চালু হলে কী কী সুবিধা হবে?
অনেক দ্রুত ইন্টারনেট: সম্ভবত বর্তমান গতির চেয়ে 100 গুণ দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন।
উন্নত সংযোগ: বিভিন্ন ডিভাইস এবং অ্যাপ্লিকেশনের জন্য আরও নির্ভরযোগ্য সংযোগ।
নতুন প্রযুক্তি সহায়তা: অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR), ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR), এবং ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) এর মতো নতুন প্রযুক্তির জন্য উন্নত কর্মক্ষমতা।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহন, এবং স্মার্ট শহরগুলির মতো ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে৷