বাঙালির জীবনের সঙ্গে মাছ মাংস যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর সেই মাছ-মাংস এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ হলে বাঙালির চিন্তা হওয়াটা স্বাভাবিক। ব্যাঙ্গালোরের একাংশে আগামী ২৩শে জানুয়ারি থেকে ১৭ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাছ মাংস সহ সমস্ত আমিষ খাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেওয়া হয়েছে, ব্যাঙ্গালোরের প্রবাসী বাঙ্গালীদের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা।
নিষেধাক্ষার কারণ কী?
ব্রুহাত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে (BBMP) এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৫-কে কেন্দ্র করে। ইয়েলাহাঙ্কা এয়ারফোর্স স্টেশন সংলগ্ন ১৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই আন্তর্জাতিক আরো শো
বিমান শো চলাকালীন পাখির কারণে এয়ারক্রাফ্টের যেকোনো রকম ক্ষতি হতে পারে। সেই সম্ভাবনা এড়াতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান এয়ারক্রাফ্ট রুলস, ১৯৩৭ এবং BBMP অ্যাক্ট, ২০২০ অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
নিষেধাক্কার বিবরণ
- ২৩ শে জানুয়ারি থেকে ১৭ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় একমাস মাছ মাংস সহ কোনোরকম আমিষ খাবার বিক্রি করা যাবে না।
- বন্ধ থাকবে সমস্ত মাছ-মাংসের দোকান এবং অনলাইন হোম ডেলিভারি পরিষেবা।
- রেস্তোরাগুলিতে কোনরকম আমিষ খাবার পরিবেশন করা যাবে না।
- ইয়েলাহাঙ্কা এয়ারফোর্স স্টেশন সংলগ্ন ১৩ কিলোমিটার এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
প্রবাসী বাঙ্গালীদের প্রতিক্রিয়া
ব্যাঙ্গালোরের প্রবাসী বাঙ্গালীদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যারা আমিষ খাবার ছাড়া পছন্দ করেন না, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখের খবর। এক বাঙালি বাসিন্দা জানিয়েছেন, “মাছ মাংস ছাড়া এক মাস কল্পনাই করতে পারি না। এমন সিদ্ধান্ত খুবই কষ্টদায়ক।”
সতর্কবার্তা ও নির্দেশিকা
BBMP এর তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন যদি কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করেন তবে তার বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এই সময় কোনও রকম পাখি আকৃষ্ট করার মত পরিবেশ যাতে তৈরি না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখা হবে।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রকল্পে নজরদারি বাড়াতে নবান্ন চালু করল নতুন পোর্টাল, কী কী সুবিধা মিলবে এবার?
সাধারণ মানুষ কী করবেন?
এই সময় যারা আমিষ খাবার নির্ভরশীল তাদের নিরামিশ খাবারের সাথে যুক্ত হতে হবে। নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সতর্ক থেকে সরকারের নির্দেশ মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে।
অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৫-এর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নেওয়া এই পদক্ষেপ কার্যকর হলে সাধারণ মানুষের জীবনে এর প্রভাব পড়বে এটা বলা যায়। প্রবাসী বাঙ্গালীদের জন্য এটি বিশেষ সমস্যার কারণ। তবে সরকারি নির্দেশ মেনে চলা এবং বিকল্প খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করায় এখন সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।