RRB Merge: আপনার যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে, তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি আপনার জন্য। হ্যাঁ, কেন্দ্রীয় সরকার এবার ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে, যা প্রভাব পড়বে দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের উপর।
আগামী ১লা মে, ২০২৫ টাকা দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে। জানা যাচ্ছে, “এক রাজ্য এক আরআরবি” নিয়ম লাগু হবে ১লা মে থেকে। অর্থাৎ, প্রত্যেক রাজ্যে থাকবে মাত্র একটি করে আঞ্চলিক গ্রামীন ব্যাঙ্ক।
আর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে অর্থমন্ত্রক ইতিমধ্যেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। আর সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১১টি রাজ্যের ১৫টি আরআরবিকে এবার একত্রিত করা হবে এবং নতুন রূপে সাজানো হবে। বর্তমানে ৪৩টি আরআরবি ২৮টিতে নেমে যাবে বলে সুত্রের খবর। আর এটি দেশের আরআরবি সংযুক্তিকরণের চতুর্থ ধাপ।
কেন এরকম পরিবর্তন?
সরকার মনে করছে, এই পদক্ষেপ আর্থিক পরিষেবা পৌঁছে দিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলে আর্থিক পরিষেবা খুব সহজে পৌঁছে যাবে। একাধিক ব্যাংকের পরিবর্তে একটি ব্যাংক কাজ করায় খরচ যেমন একদিকে কমবে, তেমনই ব্যাংকের পরিষেবা হবে আরো উন্নত। আর এই সংযুক্তিকরণ ১৯৭৩ সালের আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাংক আইন অনুযায়ী করা হচ্ছে।
কোন কোন রাজ্যে হবে এই নিয়ম কার্যকর?
যেমনটা জানা যাচ্ছে, ১লা মে থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, গুজরাট, জম্মু-কাশ্মীর, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা এবং রাজস্থান মিলিয়ে মোট ১১টি রাজ্যে নতুন এই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে।
রাজ্যভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ বদল
অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষেত্রে চারটি ব্যাংক যেমন চৈতন্য গোদাবরী গ্রামীণ ব্যাংক, অন্ধপ্রগতি গ্রামীণ ব্যাংক, সপ্তগিরি গ্রামীণ ব্যাংক এবং অন্ধ্রপ্রদেশ গ্রামীন বিকাশ ব্যাংককে একত্রিত করা হচ্ছে। আর একত্রিত করে তৈরি করা হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশ গ্রামীণ ব্যাংক।
উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে বরোদা ইউপি ব্যাংক, আর্যাবর্ত ব্যাংক এবং প্রথমা ইউপি ব্যাংককে একত্রিত করে তৈরি করা হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ গ্রামীণ ব্যাংক। আর এই ব্যাংকের সদর দপ্তর হবে লখনৌতে এবং এটি ব্যাঙ্ক অফ বরোদার অধীনেই পরিচালিত হবে।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্ক, পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাংক এবং উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাংকেকে মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাংক তৈরি করা হচ্ছে।
বিহারের ক্ষেত্রে দক্ষিণ বিহার এবং উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাংককে মিলিয়ে বিহার গ্রামীন ব্যাঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে, যার সদর দপ্তর হবে পাটনায়।
গুজরাটের ক্ষেত্রে বরোদা গুজরাটি গ্রামীণ ব্যাংক এবং সৌরাষ্ট্র গ্রামীণ ব্যাংক একত্রিত হয়ে তৈরি করা হচ্ছে গুজরাটি গ্রামীণ ব্যাংক।
আরে একই পদ্ধতি হিসাবে কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা, জন্মু কাশ্মীর ও রাজস্থানের দুটি করে আরআরবি এবার একইভূত হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে টাকা রাখলেই বিপদ? ১০ লক্ষ টাকার বেশি হলেই গুনতে হবে জরিমানা
মোট মূলধন কত থাকবে?
এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী যেমনটা জানা যাচ্ছে, একইভূত ব্যাংকগুলোর অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ থাকবে ২০০০ কোটি টাকা। আর এর ফলে আরো শক্তিশালী আর্থিক ভিত্তি তৈরি হবে, যা গ্রাহক নিরাপত্তা এবং পরিষেবার মানকে আরো নয়া উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।