লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই রাজ্যের প্রায় ২ কোটি ৯ লক্ষ মহিলার জীবনে আনন্দের খবর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাত ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বর্ধিত অনুদানের টাকা এই মে মাস থেকেই বাংলার মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে চলেছে। সেই সঙ্গে কবের মধ্যে বাংলার মহিলারা এই মাসে লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা পাবেন সেটাও জানিয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক অনুদান বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। তাতে খুশি হয়েছিল বাংলার লক্ষ লক্ষ মহিলা। সেই খুশির খবর এই মাস থেকে বাস্তবায়িত হতে চলেছে।
রাজ্য বাজেটে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এবার রাজ্যের সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে ১,০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি (SC ও ST) মহিলাদের ১,০০০ টাকা থেকে ভাতা বেড়ে ১,২০০ টাকা করা হয়েছে।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের বাড়তি টাকা এপ্রিল মাস থেকে পেতে শুরু করবেন বাংলার মহিলারা। অর্থাৎ মে মাসে প্রথম বর্ধিত হারে ভাতা ঢুকবে বাংলার মা-বোনেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ১০ মে-এর মধ্যে এই মাসের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকে যাবে সকলের অ্যাকাউন্টে।
এখন প্রশ্ন হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এই অতিরিক্ত ভাতা পাওয়ার জন্য মহিলাদের কী করতে হবে? এর জন্য আলাদা করে কোন কোন নথি জমা দিতে হবে?
আরো পড়ুনঃ আপনার নামের সিম অন্য কারো মোবাইলে ভরা নেই তো? থাকলে যা করতে হবে দেখুন
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বর্ধিত ভাতা এপ্রিল মাস থেকে কার্যকরী হবে, যা মে মাস থেকে হাতে পাবেন বাংলার মহিলারা। উল্লেখ্য ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী বাংলার মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা পেয়ে থাকেন। ২০২১ সালে এই প্রকল্প চালু হয়েছিল। ক্রমশ এর উপভোক্তার সংখ্যা বেড়েছে।
এদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে বার্ধক্য ভাতাকেও দুর্দান্তভাবে জুড়ে দিয়েছে মমতা সরকার। এখন থেকে বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকদের বয়স ৬০ বছর হলেই তাঁদের নাম স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বার্ধক্য ভাতার তালিকাভুক্ত হয়ে যাবে। এর জন্য আলাদা করে আবেদন করতে হবে না।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বর্ধিত ভাতা ঘোষণার পরই একটি জল্পনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এর জন্য নতুন কী কাগজপত্র জমা দিতে হবে, কোথায় আবেদন করতে হবে তা নিয়ে অনেক জায়গায় আলোচনা শুরু হয়েছে।
তবে রাজ্য সরকার এই বিষয়ে যে পদ্ধতি অনুসরণ করছে তাতে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এই বর্ধিত ভাতা পাওয়ার জন্য উপভোক্তাদের নতুন করে কিছুই করতে হবে না। কারণ চলতি ভাতাতেই অতিরিক্ত অর্থ যোগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু এটা নতুন কোনও প্রকল্প নয় তাই নতুন করে আবেদন করা বা নথিপত্র জমা দেওয়ার ঝামেলা থাকছে না।
আরো পড়ুনঃ রাজ্যে ED এলেই মার খাচ্ছে, তাই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলো
তবে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যদি আধার কার্ড লিঙ্ক করা না থাকে তাহলে হয়ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢোকা আটকে যাবে। বরং এই বিষয়টির দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। ফলে যে অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকবে তাতে KYC করা থাকতে হবে।
আবেদন করা সত্বেও যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান পাননি তাঁরা নিজেদের আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করার জন্য রাজ্য সরকারের socialsecurity.wb.gov.in -এই ওয়েবসাইটে ঢুকুন। সেখানে যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।