মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা লক্ষ্মীর ভান্ডার, পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় জনকল্যাণমূলক প্রকল্প। রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ।
এর অধীনে, সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের জন্য প্রতি মাসে 1,000 টাকা এবং তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের জন্য 1,200 টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে৷ তবে, ভাতার এই অঙ্ক আরও বাড়ানো হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক প্রভাব
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পটি কেবল আর্থিক সহায়তাই দেয় না বরং তৃণমূল কংগ্রেস দলের ভোটব্যাঙ্ককে শক্তিশালী করতেও গুরুত্বপূর্ণ রাখে৷ পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে অনেক মহিলা এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হন। আপনিও যদি আবেদন করতে চান, তবে নির্দিষ্ট যোগ্যতার মানদণ্ড এবং আবেদন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
স্কিমের জন্য আবেদন করার জন্য, মহিলাদের অবশ্যই নিম্নলিখিত মানদণ্ডগুলি পূরণ করতে হবে:
- বাসস্থান: আবেদনকারীদের অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
- হেলথ মেট স্কিম: পরিবারগুলিকে হেলথ মেট স্কিমে নথিভুক্ত করা উচিত।
- আবেদনপত্র: লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদনপত্র অবশ্যই পূরণ করতে হবে, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়েই আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি নথি জমা দিতে হবে:
- হেলথ পার্টনার কার্ডের ফটোকপি,
- একটি আধার কার্ড,
- একটি তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতি শংসাপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়),
- একটি সাম্প্রতিক রঙিন পাসপোর্ট আকারের ছবি।
আবেদনকারীদের অবশ্যই জানিয়ে দিতে হবে যে তাঁরা সরকারি চাকরি থেকে কোনও পেনশন বা আর্থিক সুবিধা পান না। যদি পান, তাহলে এই প্রকল্পের সুবিধা ওই আবেদনকারীর জন্য নয়। মনে রাখবেন যে প্রদত্ত সমস্ত তথ্য সঠিক হতে হবে।
কারণ সরকারি কর্মকর্তারা আবেদনগুলি অনুমোদন করার আগে বিশদটি যাচাই করবেন৷ একবার অনুমোদন হলে, তহবিল সরাসরি আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। আর না হলে সুবিধা বঞ্চিত হতে হবে।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা কবে বাড়ানো হবে?
2021 সালে যখন এই স্কিমটি চালু করা হয়েছিল, তখন মাসিক ভাতা প্রাথমিকভাবে ছিল 500 টাকা। এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং চাহিদার কারণে, সরকার পরে এই পরিমাণ বাড়িয়েছিল।
এখন, বিশেষ করে আসন্ন উৎসবের মরসুমে মাসিক ভাতা 1,500 টাকা করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই বৃদ্ধি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
আরও পড়ুন: দিনের পর দিন LPG সিলিন্ডারের দাম বাড়ছে, কিন্তু কেন ভর্তুকি পাচ্ছেন না গ্রাহকরা?
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা শীঘ্রই বৃদ্ধি করা হবে। বিশেষ করে 2026 সালের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এমনটাই করা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপসংহার
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের বিকাশ অব্যাহত, এটি পশ্চিমবঙ্গের অনেক মহিলার জন্য আর্থিক সমর্থনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসই বটে। মেয়েদের আর্থিক স্বাধীনতা এবং সামগ্রিক মঙ্গল বৃদ্ধি করছে এই প্রকল্প।