শিক্ষা দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতির পর এবার পালা মিড ডে মিল দুর্নীতির। একের পর এক দুর্নীতির চাপে কুপোকাত রাজ্য। নিয়োগ দুর্নীতির চাপে শিক্ষামহল অস্বস্তিতে। তার উপর আবার রেশন দুর্নীতি নিয়েও অনেক হ্যাপা পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
তাহলে এবার? কোন দুর্নীতি? মিড মে মিল দুর্নীতি। এখন নাকি ছাত্রছাত্রীদের খাবারের দিকেও হাত বাড়িয়েছে দুর্নীতিকারীরা। একের পর এক বাড়ছে চাপ। টন টন ডাল, চাল উধাও হওয়ার খবর আসছে। ঠিক ঠাক মশলার অভাবেও হাল খারাপ খাদ্যের। এমতাবস্থায় ভেবে চিন্তে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
সুকান্ত মজুমদার শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। মোদী 3.0 শুরু হতে না হতেই বদলেছে অনেক গদিই। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর গদিতে বসেই দুর্নীতির মুখোশ টেনে খোলার কাজ শুরু করে দিয়েছেন সুকান্ত।
ইতিমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের সিবিআইকে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্নীতির এই তদন্ত কতটা এগিয়েছে, সেই স্ট্যাটাসও জানতে চেয়েছেন এই মহাশয়। কারণ এই প্রথম নয়, মিড ডে দুর্নীতির কথা অনেক আগেই কানে পৌঁছে গিয়েছিল কেন্দ্রের।
শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও। তিনি প্রায় 4,000 কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। একই অভিযোগে শান দিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।
আরো পড়ুন: রাজ্যের SC, ST, OBC দের জন্য সুখবর! এইভাবে ট্রেনিং করলেই চাকরি
মিড মে মিল নিয়ে এমনটাই ক্রমাগত অভিযোগের বোঝা বাড়তে থাকায়, তদন্তের জন্য সিবিআইকে অনেক আগেই নির্দেশ দিয়েছিল মোদী সরকার। এবার সুভাষ সরকারের জায়গায় এসেছেন সুকান্ত মজুমদার বসে সেই সিদ্ধান্তে শান দিয়েছেন মাত্র। এবার সময় বলবে কার কপালে দুর্ভোগ নাচছে।
উল্লেখ্য, কোভিড অতিমারির পর থেকেই স্কুলে স্কুলে মিড ডে মিলের খাবার নিয়ে নানা অভিযোগ এসেছে। খাবার তৈরির ক্ষেত্রে নানা ত্রুটি থাকে অভিযোগ। সে সব পর্যবেক্ষণের পর কেন্দ্রীয় সরকার এর আগেও তৎপরতা দেখিয়েছিল।