রপ্তানিতে রেকর্ড করল ভারত, ৮০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করল

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

রেকর্ড ভাঙা রপ্তানি এবং উচ্চতর ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে ভারত ইতিহাস তৈরির পথে। এই অর্জনগুলি অর্থনীতির জন্য দুর্দান্ত এবং ভারতের জনগণের জন্য উপকারি প্রমাণিত হবে। জানা গিয়েছে, এই প্রথমবারের মতো, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের রপ্তানি ৮০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত আগে কখনও এই স্তরে পৌঁছায়নি। বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এই উত্তেজনাপূর্ণ খবরটি শেয়ার করেছেন।

রপ্তানি বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি

মন্ত্রী গোয়েল ব্যাখ্যা করেছেন যে গত চার বছর ধরে রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরেও এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, কিছুদিন আগেই জল্পনা বলছিল ভারতের রপ্তানি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। এমন উদ্বেগের জবাবে মন্ত্রী এদিন বলেন যে এটি সত্য নয়। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে দেশের রপ্তানি খুব ভালো ভাবে এগিয়ে চলেছে।

ভারতের কৃষি প্রবৃদ্ধি

ভোক্তাদের জন্য আরও এক সুখবর হল, কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে

  • ২০২৫ সালে পেঁয়াজ, টমেটো এবং আলুর মতো প্রয়োজনীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
  • পেঁয়াজের উৎপাদন ১৯% পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
  • এছাড়াও, ফল, রোপিত ফসল এবং মশলাও ও অনেক বেশি উৎপাদন করা হবে।
  • আম, আঙ্গুর এবং কলার ভালো ফলনের কারণে মোট ফলের উৎপাদন ১১৩২.২৬ লক্ষ টন হতে পারে।
  • রসুন এবং হলুদের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, ভারতে উদ্যান উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ২.০৭% বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে, কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত এলাকা কিছুটা হলেও কমেছে। জানা গিয়েছে, গত বছরের ২৯.০৯ মিলিয়ন হেক্টর থেকে কমে এই বছর ২৮.৮৪ মিলিয়ন হেক্টরে দাঁড়িয়েছে কৃষি জমি।

আরও পড়ুন: রাজ্যে বাতিল হল ১ লক্ষ রেশন কার্ড, এই কাজ না করলে আপনার কার্ডও বাতিল হবে

আমদানি বৃদ্ধি একটি ভালো লক্ষণ

রপ্তানি বৃদ্ধি পেলেও, ভারত আরও বেশি পণ্য আমদানি করছে। গোয়েল উল্লেখ করেছেন যে উচ্চ অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং কিছু ক্ষেত্রে ঘাটতির কারণে আমদানি প্রয়োজন। এটি আসলে অর্থনীতির জন্য একটি ভালো লক্ষণ, কারণ এটি দেখায় যে ভারতের মানুষ আরও বেশি পণ্য ব্যবহার করছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

কিছু প্রধান আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে পেট্রোলিয়াম পণ্য, রান্নার কয়লা, ডাল এবং ভোজ্য তেল। গোয়েল আরও ব্যাখ্যা করেছেন যে, ভারত যত বেশি উৎপাদন ইউনিট তৈরি করবে, আমদানির চাহিদাও কয়েক বছর ধরে বেশি থাকবে। এটি ভারতে আরও কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে।

Leave a Comment