জালিয়াতির চরম সীমা। এখনকারের কলার আর মানুষ নয়। রোবটদের দিয়ে ফোন করাচ্ছেন জালিয়াতরা। যেখানে 9 নম্বর টিপলেই হ্যাক হতে পারে মোবাইল। ব্যাঙ্ক একাউন্টও হতে পারে ফাঁকা। এই বিপদের প্রতিকারের রাস্তা খুঁজেই পাচ্ছে না পুলিশ। তাই সতর্ক করছে সাধারণ মানুষকে।
কলকাতার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ইতিমধ্যেই এই বিপাকে পড়েছেন। মহা চিন্তায় লালবাজার।
আসলে, যে নম্বর থেকে ওই স্ক্যাম কল আসছে, সেটির ‘সার্ভিস প্রোভাইডার’ কে সেটাই বুঝতে পারছে না পুলিশ। সিম বক্সের মাধ্যমে এই প্রতারণা হতে পারে, বলে ধারণা রয়েছে যদিও।
কীভাবে 9 নম্বর টিপলে হ্যাক হয়ে যাচ্ছে ফোন?
লিঙ্ক নিয়ে এখন সচেতন মানুষ। অজানা অচেনা কিছুতেই ক্লিক করে না আর। সেই কারণে কিছুটা হলেও চোখে সর্ষে ফুল দেখেছে জালিয়াতিরা। তাই এবার নিজেদের পেট চালানোর তাগিদে বাটপারির নিয়ম বদলেছে তাঁরা। কীভাবে নতুন করে জালিয়াতিতে ফাঁসছেন, সাধারণ মানুষ?
পুলিশের সূত্র জানাচ্ছে:-
1) প্ৰথমে অজানা নম্বর থেকে ফোন আসছে মোবাইলে।
2) রোবট ইংরেজি ও হিন্দিতে বলছে, ‘Kyc-র কারণে আপনারও মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়াহবে। এই সমস্যা এড়ানোর জন্য এখনই ‘9’ টিপুন।’
3) মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে মানুষ ‘9’ বোতামটি টিপে ফেলছেন।
4) সঙ্গে সঙ্গে জালিয়াতরা হ্যাক করে নিচ্ছেন মোবাইল।
5) মোবাইলের যে কোণে, যে তথ্য আছে, সবই নিমেষে চলে যাচ্ছে সাইবার জালিয়াতদের হাতে।
আরো পড়ুন: ফরেস্ট গার্ড নিয়োগ ২০২৪! চাকরি হবে নতুন নিয়মে, জানিয়ে দিল মুখ্যমন্ত্রী
সাইবার জালিয়াতির জন্য সম্পূর্ণ অন্ধকারে পুলিশও
কোন নম্বর, কোন সংস্থা থেকে কল আসছে, কোন জায়গা থেকে আসছে, কার নামে সিম কার্ড টাওয়ার লোকেশন দেখে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। এবার এই সাইবার জালিয়াতদের ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে পুলিশ।
তবে হ্যাঁ, গোপন কোনও জায়গা থেকে একসঙ্গে অনেকগুলি প্রি অ্যাকটিভেটেড সিমকার্ড কিনে, কোনও কেওয়াইসি না করিয়েই, ঠগবাজি করা হচ্ছে। শুধু জালিয়াতরা নন, একই উপায়ে জঙ্গি সংগঠনও নিজেদের কাজ চালায়। তাই তদন্তের হাল ছাড়ছে পুলিশ। সাধারণ মানুষের পিঠ বাঁচাতে চলছে তদন্ত।