আগামী ৩ই মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তবে এবার এক ধাক্কায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। সূত্র বলছে, গত বছরের তুলনায় এবছর প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার কম পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছে।
কেন কমছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা?
শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় অন্যবারের তুলনায় তুলনামূলকভাবে পাশের হার কম ছিল। প্রায় ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার পড়ুয়া মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছিল, যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম।
ফলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে গেছে। সংসদ সভাপতি চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য এই বিষয়ে জানিয়েছেন, অনেক শিক্ষার্থী অন্যদিকে ঝুঁকছে, কেউ পলিটেকনিক কেউবা অন্য ট্রেনিং কোর্সের দিকে যাচ্ছে। এছাড়া কিছু শিক্ষার্থী তো মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়েই দিয়েছে।
পরীক্ষার নতুন নিয়ম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পর্ষদ কিছু নতুন নিয়ম এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করেছে। যেমন-
- প্রথমবারের মত এডমিট কার্ডে পরীক্ষা কেন্দ্রের না উল্লেখ করা থাকবে।
- প্রত্যেক পরীক্ষা কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হবে, যাতে কোনরকম নিষিদ্ধ ইলেকট্রনিক ডিভাইস কোন পরীক্ষার্থী না আনতে পারে।
- প্রত্যেক ভেন্যুতে অন্তত দুটি করে সিসি ক্যামেরা রাখা হবে, যা পরীক্ষা চলাকালীন নজরদারি করতে সাহায্য করবে।
- এবার আর প্রধান শিক্ষকের ঘরে কোনরকম প্রশ্নপত্র খোলা যাবে না।
- পরীক্ষার্থীদের সামনে হলের মধ্যেই প্রশ্নপত্রের প্যাকেট কাটতে হবে।
- প্রশ্নপত্রের প্রতিটিতে থাকবে ইউনিক সিরিয়াল নাম্বার, যা উত্তরপত্রে উল্লেখ করতে হবে।
- পরীক্ষা কেন্দ্রে যদি কোন পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন বা নিষিদ্ধ সামগ্রী সহ ধরা পড়ে, তবে তার পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে।
২০২৫ সাল থেকে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নতুন সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হতে চলেছে। এর ফলে বছরে মাত্র দুইবার পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে পুরনো নিয়ম অনুযায়ী শেষবারের মতো পরীক্ষা।
ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি
এবার পরীক্ষার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, এবছর ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। ছাত্রদের তুলনায় প্রায় ৪৭ হাজার ৫৭১ জন বেশি ছাত্রী এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে।
এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ৩রা মার্চ এবং চলবে ১৮ই মার্চ পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীদের সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সংসদ ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছে সমস্ত স্কুলগুলিতে।