২৫ হাজার চাকরি রাতিলের পর আবার ঝটকা! এটা করাই যাবে না, জানিয়ে দিল আদালত

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন পড়ানো একেবারেই বৈধ নয়। কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে এমনটাই। এছাড়াও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে বেসরকারি টিউশনে জড়িত স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

কোলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবগানাম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আদেশ দিয়েছে যে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, আদালত সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

প্রাইভেট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের দায়ের করা পিআইএলেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্ট এর আগে নির্দেশ দিয়েছিল যে সরকারী এবং সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন দেওয়া বেআইনি। তাই এই সমস্ত শিক্ষকরা টিউশন পড়াতে পারবেন না। এদিনের মামলার রায়ে আদালত আবারও কার্যত সেই পুরনো আদেশই বহাল রেখেছে।

এদিন প্রাইভেট টিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট একরামুল বারী আদালতকে জানিয়েছেন, মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের জারি করা নিয়ম অনুযায়ী, কর্মরত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের দ্বারা প্রাইভেট টিউশন পড়ানো নিষিদ্ধ।

অথচ কিছু স্কুলের শিক্ষকরা পরীক্ষায় কম নম্বরের ভয় দেখিয়ে প্রাইভেট টিউশনি নিতে বাধ্য করছেন। এমনকি অনেকে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও শিক্ষকতা করছেন। এটি একটি আইনত অপরাধ। তাই এবার হাইকোর্ট মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বলেছে, আট সপ্তাহের মধ্যে সরকারি শিক্ষকদের টিউশন করার বিষয়টি যাতে বাস্তবায়িত করে।

আরো পড়ুনঃ RBI নিয়ে এল ৩ টি নতুন সুবিধা! এতে আপনার আমার সবার সুবিধাই হবে

হাইকোর্টের আদেশে একজন প্রধান শিক্ষকও বলেছেন, স্কুল শিক্ষকদের আচরণবিধিতে স্পষ্ট বলা রয়েছে যে টিউশনি পড়ানো যাবে না। এটি একটি ওয়েক আপ কল।

তাঁর আরও দাবি, নৈতিকভাবে আমিও মনে করি স্কুল শিক্ষকদের টিউশনি নেওয়া উচিত নয়। একজন স্কুল শিক্ষকের প্রথম কাজ হওয়া উচিত, তিনি যে স্কুলে পড়াচ্ছেন সেই স্কুলের বাচ্চাদের তৈরি করা।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Leave a Comment