মোবাইলে ক্রমাগত কেলেঙ্কারি ও প্রতারণার বিষয়ে সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছে। মোবাইলে ক্রমবর্ধমান স্প্যাম কল এবং জালিয়াতির বিষয়ে সরকার কঠোর হয়ে উঠেছে এবং সরকার এটি নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন প্রচার চালাচ্ছে।
এ জন্য সরকার টেলিকম নিয়মে পরিবর্তনও এনেছে। যাদের নামে সিম কার্ড দেওয়া হবে না, তাদের তালিকাও তৈরি করেছে সরকার। আপনার নামও কি একই তালিকায় থাকতে পারে!
সম্প্রতি, সিম কার্ড ইস্যু করার জন্য সরকার কর্তৃক ইকেওয়াইসি যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি ছাড়া সিম কার্ড ইস্যু করা হবে না। সাইবার জালিয়াতি ও সিম কার্ডের অপব্যবহার রোধে সরকার এই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে, সরকার সেই সমস্ত লোকদের রোধ করতে চায়, সেই সমস্ত লোকেদের লাগাম টানতে চায়, যারা অন্য কারও নামে একটি সিম কার্ড ইস্যু করে নম্বরটির অপব্যবহার করেছে বা করছে।
বলা বাহুল্য, সাইবার অপরাধীরা এখন সরকারের মাথাব্যথা হয়ে উঠছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে কালো তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর। এমনকি সিম কার্ডের নিয়মের অধীনে, টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ (DoT) ভুয়ো কল এবং এসএমএস করে লক্ষ লক্ষ মোবাইল নম্বর ব্লক করেছে।
টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের তৈরি কালো তালিকায় এমন ব্যক্তিদের নাম রয়েছে যারা অন্যের নামে সিম ইস্যু করে মোবাইল ব্যবহারকারীদের প্রতারণা করে চলেছেন। প্রকৃতপক্ষে, সরকার এটিকে সাইবার নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করছে এবং তাই এই কঠিন নিয়ম শিথিল করার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাসে ১৮,০০০ টাকা ভাতা দেবে সরকার, ৩১ ডিসেম্বর থেকে এইসব লোকেদের নাম তোলা শুরু
কালো তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের কী হবে?
টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের কালো তালিকায় থাকা ব্যবহারকারীদের সিম প্রথমে ব্লক করা হবে। এছাড়া ৬ থেকে ৩ বছরের মধ্যে তাদের নামে কোনো নতুন সিম কার্ড দেওয়া হবে না। যাইহোক, ব্যবস্থা নেওয়ার আগে, সরকার এই ধরনের ব্যক্তিদের একটি নোটিশও পাঠাবে, যার উত্তর তাদের 7 দিনের মধ্যে দিতে হবে। কিন্তু টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরও স্পষ্ট করে বলছে, জনস্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কোনো নোটিশ না পাঠিয়েই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।