লোকসভা নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরই এক দারুণ সুখবর আসতে পারে দেশের বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতদের জন্য। সূত্রের খবর, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা EPF-এ নাম নথিভুক্ত করার জন্য আয়ের সীমা বাড়তে চলেছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া মিটে গেলেই তা ঘোষণা করে দেওয়া হবে।
বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতদের জন্য এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের ব্যবস্থা থাকে। এই তহবিলে বেতন থেকে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা পড়ে। দীর্ঘমেয়াদে সেই অর্থ জমা রাখা হয়। তার উপর সরকার সাধারণত বাজারের হারের থেকে বেশি হারে সুদ প্রদান করে। আসলে এমপ্লয়েজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার ক্ষেত্রে এক বড় হাতিয়ার।
তবে যে কেউ চাইলেই এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে নিজের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন না বা সেখানে টাকা জমা করতে পারেন না। সরকারি নিয়মে মাসে ১৫,০০০ টাকা বেতন পর্যন্ত বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা EPF অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
২০১৪ সালের আগে মাসে ৬,৫০০ টাকা বেতন পর্যন্ত বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা EPF অ্যাকাউন্ট খুলতে পারতেন। ২০১৪ সালে সেই সীমা বাড়িয়ে ১৫,০০০ টাকা করা হয়। এখন শোনা যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচন মিটে গেলে নতুন সরকার শপথ নেওয়ার পরই এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের আয় সীমা বাড়িয়ে মাসিক ২১,০০০ টাকা করা হবে।
আরো পড়ুনঃ ব্যাংক থেকে লোন নিন বা না নিন, ১ অক্টোবর থেকে লোনের এই নিয়ম চালু হবে
অর্থাৎ মাসে ২১,০০০ টাকার মধ্যে বেতন থাকলেই আগামী দিনে বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এর ফলে আরও অনেক বেশি সংখ্যক বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা এর আওতায় চলে আসবেন।
উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরেই শ্রমিক কর্মচারী সংগঠনগুলো এই সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। অবশেষে সেই দাবি মেনে নেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে সরকার। এর অন্যতম কারণ হল, সব কিছুর দাম বেড়েছে। সেই সূত্র ধরে বিভিন্ন জায়গায় কর্মরতদের মজুরিও কিছুটা করে হলেও বেড়েছে। ফলে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতদের একটা বড় অংশের মাসিক আয় ১৫,০০০ টাকার বেশি হয়ে গিয়েছে। ফলে অনেকেই এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরো পড়ুনঃ ভোটের মধ্যেই DA বাড়াতে চায় সরকার! কিন্তু কমিশন এখন অনুমতি দেবে কি?
তবে এম্প্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে নাম নথিভুক্ত করার আয় সীমা বৃদ্ধি পেলে কেন্দ্রীয় সরকারের খরচের বোঝাও অনেকটাই বাড়বে। কিন্তু দেশের একটা বড় অংশের মানুষের আর্থিক ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই এই পথে হাঁটতে চলেছে সরকার।