সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন ধরনের প্রযুক্তির প্রাধান্যও বাড়ছে। একটা সময় ছিল যখন পেট্রোল ও ডিজেলে চলত যানবাহন। এখন নতুন যুগে বিদ্যুতে চালিত বা ব্যাটারি চালিত যানবাহনের আধিপত্য ছড়িয়ে পড়ছে।
বলা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক যানবাহনগুলি পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। একই সময়ে, এই গাড়িগুলি আপনাকে প্রতি মাসে পেট্রোল এবং ডিজেলের খরচ থেকেও বাঁচায়। সারাদেশে সরকার জনগণকে তাই বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে উৎসাহিত করার জন্য ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
এই স্কিমটি ইলেকট্রিক মোবিলিটি প্রমোশন স্কিম নামে প্রচার করা হচ্ছে। আপনিও স্কুটার, গাড়ি, বাইক ইত্যাদি কেনার ক্ষেত্রে ছাড় পেতে এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন।
২ চাকা, ৩ চাকা ও ৪ চাকার গাড়িতে কত টাকা ভর্তুকি পাবেন?
1) গ্রাহকদের ইলেকট্রিক যানবাহন ভর্তুকি প্রকল্পের অধীনে, টু হুইলার অর্থাৎ ২ চাকার গাড়ি কেনার জন্য 10,000 টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
2) ই-রিকশা, ই-অটোর মতো ছোট থ্রি-হুইলার গাড়ি কেনার জন্য 25000 টাকার EV ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।
3) একইভাবে , চার চাকার জন্য, প্রথম 1000 গ্রাহককে 1.5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।
কীভাবে ভর্তুকির জন্য আবেদন করবেন?
ভারী শিল্প মন্ত্রণালয়, এই বৈদ্যুতিক যানবাহন ভর্তুকি প্রকল্পের জন্য 500 কোটি টাকার বাজেট পাস করেছে।
এই সম্পূর্ণ স্কিমটি 31শে জুলাই পর্যন্ত চালাবে সরকার, যার অধীনে আবেদনকারীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে।
একই সময়ে, বড় গণপরিবহন যানবাহনগুলিকেও ইভি গাড়ি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং ইলেকট্রিক বাসেও ইলেকট্রিক যানবাহনের সাবস আইডি দেওয়া হচ্ছে। তাহলে ইলেকট্রনিক গাড়ি কেনার জন্য ভর্তুকি কীভাবে পাবেন দেখে নিন।
যে সমস্ত আবেদনকারীরা ইলেকট্রনিক গাড়ি কিনতে চান, তাঁদের ইভি যানবাহন সংস্থাগুলিতে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করালে, তবেই এই স্কিমের সুবিধা পাবেন। সঙ্গে অবশ্যই গ্রাহককে ইলেকট্রনিক গাড়ি কেনার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
আরো পড়ুন: রবিবারেও স্কুলে যেতে হবে! গরমের ছুটির পরেই নেওয়া হলো এই সিদ্ধান্ত
ব্যাটারি চালিত ইলেকট্রনিক গাড়ির সুবিধা কী কী?
ইলেকট্রনিক গাড়িগুলি সম্পূর্ণরূপে বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত হয়, যাতে পেট্রোল এবং ডিজেলের বর্ধিত দাম, আপনার পকেটে বোঝা না ফেলে।
একই সময়ে ইলেকট্রনিক গাড়ি পরিবেশের জন্যও খুবই ইতিবাচক প্রমাণিত হয়, যা পরিবেশে দূষণ করে না।
আশা করা যায়, এই গাড়ির কারণে সারাদেশে জ্বালানি খরচ নিয়ন্ত্রণে থাকায় তেলের দামও কমবে। সামগ্রিকভাবে, এই ইলেকট্রনিক যানটি আপনার পকেট এবং পরিবেশের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে প্রমাণিত হচ্ছে।