দেশজুড়ে বন্ধ Google Pay, PhonePe, Paytm! কবে থেকে ঠিকঠাক চলবে?

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

হঠাৎ করেই বিকল হয়ে গেল ভারতের ইউপিআই সিস্টেম (UPI System)। Google Pay থেকে শুরু করে PhonePe, Paytm সব জনপ্রিয় ডিজিটাল লেনদেন অ্যাপ কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। পেমেন্ট তো দূরের কথা, বরং রিচার্জ থেকে শুরু করে বিল পেমেন্টও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন এমনটা হল? এর পিছনে আসলে কী কারণ রয়েছে? জানতে হলে প্রতিবেদনটি পড়ুন। 

ঠিক কী ঘটেছিল?

গতকাল, অর্থাৎ ১১ই এপ্রিল শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ হঠাৎ করেই অসংখ্য ব্যবহারকারী সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন এবং তারা জানান যে, তাদের ইউপিআই পেমেন্ট হচ্ছে না। কেউ স্ক্যান করে টাকা পাঠাতে পারছে না। আবার কেউ রিচার্জ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। 

ডাউন ডিটেক্টরের রিপোর্ট অনুযায়ী, মাত্র কয়েক মিনিটেই অভিযোগের সংখ্যা ২২০ ছাড়ায়। এর মধ্যে প্রায় ৬৬ শতাংশ অভিযোগ পেমেন্ট ফেল হওয়ার এবং বাকিটা ফান্ড ট্রান্সফার কিংবা অন্যান্য ইউপিআই পরিষেবা ব্যবহার করতে না পারার অভিযোগ। 

সমস্যাটি কোথায়?

যদিও এখনো অফিসিয়াল কোন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে প্রযুক্তিবিদরা মনে করছে, ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার নেটওয়ার্কে এই বড় ধরনের কোন প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছিল। 

NPCI এর তত্ত্বাবধানে প্রচলিত হয় ইউপিআই নেটওয়ার্ক। আর এটি মূলত Google Pay, PhonePe, Paytm এর মত অ্যাপগুলির মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে থাকে। ফলে মূল সার্ভারে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে অ্যাপগুলিও কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়। 

সাধারণ গ্রাহকের উপর কতটা প্রভাব পড়েছে?

এই মুহূর্তে দেশে প্রায় দৈনিক কয়েক কোটির বেশি উপরে লেনদেন হয়ে থাকে। আর এমন একটা সময়, যখন বাজারে কেনাকাটার সময় চলছে। তখন হঠাৎই পুরো সিস্টেম বিকল হয়ে গেলে বিশাল বিপদ। অনেকেই জানিয়েছেন, হাসপাতালে বিল মেটাতে পারছেন না, আবার কেউ বাসের টিকিট কাটতে সমস্যায় ভুগছেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

বিশেষ করে ছোট ব্যবসায়ী, হকার এবং শহরের বাইরের মানুষজন, যারা এখন ডিজিটাল লেনদেনের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল, তারা চরম সমস্যায় পড়েছেন এই কিছুটা সময়ের জন্য।

আরও পড়ুন: এক ভুলেই বন্ধ হবে বার্ধক্য ভাতা! টাকা পেতে এই ডকুমেন্ট জমা দিতেই হবে

পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে?

যদিও NPCI এখনো এই বিষয়ে কোনরকম অফিশিয়াল বিবৃতি দেয়নি। তবে সূত্র বলছে, টেকনিক্যাল টিম জোর কদমে কাজ করেছে এই সমস্যা ঠিক করার জন্য। ঠিক কবে নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ব্যাংকগুলিকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, যাতে কোনরকম প্রতারণামূলক কার্যকলাপ না হয় এমতাবস্থায়।

আর এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে, আমরা ডিজিটালই যতই হই না কেন, প্রযুক্তির সমস্যা হতেই পারে। ভবিষ্যতে যাতে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যায়, তার জন্য ইউপিআই এর বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া সবথেকে জরুরী।

Leave a Comment