বর্তমান নিয়ম অনুসারে, কর্মচারীরা অবসর গ্রহণ করলে, পেনশন হিসাবে তাঁদের শেষ বেসিক বেতনের 50% পেনশন দেওয়া হয়। এবং এই পেনশনটি 9000 টাকার কম হওয়া উচিত নয়।
এবার যদি কর্মচারীর মৃত্যু হয়, তাহলে ওই কর্মচারীর শেষ মূল বেতনের 50% পেনশন পুরো 10 বছরের জন্য তাঁর পরিবারকে দেওয়া হয় এবং তার পরে আবার 30% পেনশন দেওয়া হয় এবং এই পেনশনটির পরিমাণও 9000 টাকার কম নয়।
Pension New Rules
চাকরিতে থাকাকালীন একজন কর্মচারীর মৃত্যুর পরে, তার পরিবারকে প্রথম 10 বছরের জন্য 50% পেনশন দেওয়া হয়।।তারপর যে সেই হার কমিয়ে দেওয়া হয়, এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিআইএল দায়ের করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে একবার পেনশন 50% হারে দেওয়া শুরু হলে 10 বছর পরে তা 30% কমিয়ে দেওয়া সমর্থনযোগ্য নয়।
পেনশনে 50% বৃদ্ধি পেনশনভোগীর জন্য একটি রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে 10 বছর পরে পেনশন কমানো ঠিক নয়। CJI DY চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ যদিও, প্রাথমিকভাবে এই পিআইএল নিয়ে এগোনোর ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। সুপ্রিম কোর্ট এটিকে সরকারের নীতিগত বিষয় বলে শুনানি করতে অস্বীকার করেছিল। পরে, সিনিয়র আইনজীবী নিধেশ গুপ্ত তার যুক্তি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে উত্তর চাইতে রাজি করান।
আসলে, সম্প্রতি একজন মৃত প্রাক্তন সৈনিকের পারিবারিক পেনশন নিয়ে এই প্রশ্ন আদালতে উত্থাপিত হয়েছিল। যেখানে পরিবারের সমস্ত ভরণপোষণ দায়িত্ব ছিল তাঁর বিধবা স্ত্রী কাঁধে। এমন পরিস্থিতিতে পেনশন এ ধরনের হ্রাসের কারণে টিকে থাকা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।
আরো পড়ুনঃ বছরে ১২,০০০ টাকা পাবেন এই স্কলারশিপে, কী কী কাগজপত্র লাগবে দেখুন
ঐ আবেদনে, আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে সরকারের এই পেনশন নীতি স্বেচ্ছাচারী এবং অন্যায্য, যা সংবিধানের 14 এবং 21 অনুচ্ছেদের অধীনে বিধবা এবং মৃত চাকরিজীবীদের নির্ভরশীল সন্তানদের অধিকার লঙ্ঘন করে।
আইনজীবীর এই যুক্তি শোনার পর এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট আরও নির্দেশ দিয়ে বলেছে যে, পেনশনভোগীদের অসুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে সারাজীবন 50 শতাংশ হারে পারিবারিক পেনশনের সুবিধা দেওয়া উচিত।
এরই সঙ্গে ন্যূনতম পারিবারিক পেনশন 9000 টাকা থেকে বাড়িয়ে 15000 টাকা করা উচিত। যাতে, এই মূল্যবৃদ্ধির আবহে পেনশনভোগীর পরিবার চাপে না পড়েন।