ভারতের সাধারণ মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, এলপিজি গ্যাসের (LPG Cylinder) দাম বাড়বে না তো? আসলে শুধু দাম নয়। বরং পরিস্থিতি এবার যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে গ্যাসের সংকট উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আসলে মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান অস্থিরতা এর পিছনে মূল কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পেট্রোল-ডিজেল নিয়েও কি তাহলে বাড়তি চিন্তা? চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ে।
রান্নার গ্যাস বাড়াচ্ছে উদ্বেগ
ভারতে দিনের পর দিন এলপিজি গ্যাস ব্যবহার বাড়ছে। ৩৩ কোটির বেশি পরিবার এখন গ্যাসের উপর নির্ভর করে রান্না করছে। এমনকি তাদের অনেকেই ভর্তুকির টাকাও পাচ্ছেন। তবে সবথেকে খারাপ খবর এই যে, এই গ্যাসের বড় একটি অংশ আমদানি করা হচ্ছে সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশ থেকে। আর এই তিনটি দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে। আর তার প্রভাব সরাসরি পড়তে পারে ভারতের আমদানির উপর, এমনটাই মনে করছে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ।
পেট্রোল-ডিজেল নিয়ে কী খবর?
প্রসঙ্গত, ভারতের হাতে এখনো ৭৪ দিনের পেট্রোল-ডিজেল মজুদ রয়েছে। এমনকি ভারত নিজেই পরিশোধিত তেল রপ্তানি করতে পারে। তার ফলে বাহ্যিক দেশগুলি সরবরাহ বন্ধ করে দিলেও কোনোরকম ঘাটতি পরবে না ভারতের বাজারে। পাশাপাশি রাশিয়ান তেলও ভারতের জন্য বিকল্প উৎস হিসেবে ধরা রয়েছে।
তাই আন্তর্জাতিক বাজারে সামরিক অস্থিরতা পেট্রোল বা ডিজেলের দাম কিছুটা বাড়াতে পারে ঠিকই, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী নয় এবং মজুদে কোনোরকম ঘাটতি পরবে না বলে মনে করছে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ।
আরও পড়ুন: রেশনে এবার অতিরিক্ত চাল-গম পাবে এই পরিবাররা! বিরাট উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
চিন্তা বাড়াচ্ছে এলপিজি গ্যাস
তবে এলপিজি গ্যাস দিনের পর দিন চিন্তা বাড়াচ্ছে। রিপোর্ট বলছে, দেশে মাত্র ১৫ থেকে ১৬ দিনের গ্যাস মজুদ রয়েছে। আর পরিস্থিতি জটিল হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়াও যাবে না। প্রাকৃতিক গ্যাস যদি বিকল্প হতো, তাহলেও রেহাই মিলতো। তবে তাও হচ্ছে না। কারণ আজও ভারতের ৩৩ কোটি পরিবারের মধ্যে মাত্র ১.৫ কোটি মতো পরিবার এই প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে। আর পাইপ লাইনের অবকাঠামো এখনও দেশের বেশিরভাগ অংশে পৌঁছইনি।