রাজ্যে ওবিসি তালিকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে জলঘোলা। বহু শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের নজর ছিল আদালতের দিকে, কবে স্পষ্ট রায় মিলবে। একের পর এক মামলার মাঝখানে আটকে ছিল স্কুল কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া। আর অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গেল বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয় যে, ২০০৯ সালের ওবিসি তালিকাকে (OBC Certificate) একমাত্র বৈধ বলে মেনে নেওয়া হবে। আর ২০১০ সালের পর থেকে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল বলেই গণ্য করা হবে। আর সেই তালিকার ভিত্তি করে ফের শুরু হবে ভর্তির প্রক্রিয়া।
কী বলা হয়েছে রায়ে?
হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ২০০৯ সালের তালিকা সম্পূর্ণ বৈধ। তবে ২০১০ সালের পর সমস্ত ওবিসি তালিকা এবং সংশ্লিষ্ট সার্টিফিকেট বাতিল। এমনকি ভর্তি, মেধা তালিকা প্রকাশ এবং কাউন্সিলিং শুধুমাত্র ২০০৯ এর তালিকাভুক্ত সম্প্রদায়গুলির জন্য চালু করা হবে।
কারা পাবেন ওবিসি হিসেবে ভর্তির সুযোগ?
বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের তালিকায় মোট ৬৬ টি সম্প্রদায় ছিল। যারা এখনো আইনতভাবে ওবিসি মর্যাদা পাবে। আর এই তালিকায় ‘A’ ও ‘B’ ভাগ না থাকলেও জাতিভিত্তিক তথ্য দেওয়া ছিল। এমনকি আবেদনকারীদের জাতি যাচাই করেই ওবিসি তালিকায় নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: জোর করে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্মার্ট মিটার, আসছে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল! তোলপাড় রাজ্য
স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কি করতে হবে?
রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এবার হাইকোর্ট বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে। প্রথমত ৪০ দিনের মধ্যে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে এবং ওবিসি প্রার্থীদের কাছ থেকে পুরনো সংশপত্র চাইতে হবে।
এর পাশাপাশি শংসাপত্র আপলোড করার জন্য বিশেষ পোর্টাল চালু করতে হবে। শুধু তাই নয়, এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের বিস্তারিত জানাতে হবে এবং মেধা তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে কাউন্সেলিং শুরু করতে হবে।
হাইকোর্টের এই রায়কে কেন্দ্র করে সিনিয়র আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, হাইকোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, ২০১০ সালের পর যারা ওবিসি তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তাদের সার্টিফিকেট আর কোনোভাবেই বৈধ গণ্য করা হবে না। আর ভর্তি সেই অনুযায়ীই হবে।