চাকরির (Jobs) চিন্তায় ঘুম উড়বে না আর। নতুন নিয়োগের সুযোগ নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে যে রাজ্য সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২-৩ লক্ষ লোক নিয়োগের পরিকল্পনা করছে। ওবিসি (অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী) সার্টিফিকেট সম্পর্কিত সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে, এই নিয়োগ করা হবে। মমতার ঘোষণা রাজ্যে বেকারত্ব হ্রাসের আশা জাগিয়ে তুলেছে।
কোন কোন বিভাগে ২-৩ লক্ষ চাকরি?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় এই সুখবর শেয়ার করেছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে ওবিসি সার্টিফিকেটের সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পুলিশ সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলিতে ২-৩ লক্ষ নিয়োগ হবে। মমতা জোর দিয়ে বলেন যে বিরোধীরা আইনি পদক্ষেপ নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে, কিন্তু তিনি রাজ্যের অগ্রগতিতে বাধা না দেওয়ার জন্য তাঁদের আহ্বান জানিয়েছেন।
কবে থেকে শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া?
ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় যখন হাইকোর্ট ২০১০ সালের পরে জারি করা সার্টিফিকেট বাতিল করে বলে যে সঠিক নিয়ম অনুসারে জারি করা হয়নি। রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। মামলাটি এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, এবং রাজ্য সরকার সমস্যাটি সমাধান এবং ওবিসি সমীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য কাজ করছে।
আর তা নিয়েই মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্ট ওবিসি সার্টিফিকেট মামলার শুনানি করে এবং রাজ্য সরকারের ওবিসি সার্টিফিকেটের উপর সমীক্ষা সম্পন্ন করার সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়। কারণ রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতের কাছে সমীক্ষা চূড়ান্ত করতে এবং ওবিসি নিবন্ধনের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য আরও তিন মাস সময় চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতের ৫টি ব্যাঙ্কের উপর RBI-র বিশাল জরিমানা! আপনার টাকা কি সুরক্ষিত তো?
সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদনটিই মঞ্জুর করে রাজ্য সরকারকে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় দিয়েছে। যদিও এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন যে সরকারের আরও তিন মাস সময় দেওয়ার অনুরোধ নিয়োগ বিলম্বিত করবে, যার ফলে বাংলার ২ কোটিরও বেশি বেকার যুবক চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।
বলা বাহুল্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২-৩ লক্ষ চাকরির নিয়োগের ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গের অনেক বেকার মানুষের মনে আশার আলো জাগিয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পুলিশ খাতে। তবে, ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে বিতর্ক এবং সরকারের এই সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে বিরোধীদের আপত্তি রাজ্যে বিতর্কের মূল বিষয় হিসেবে রয়ে গিয়েছে।